বাগরহাট প্রতিনিধি : মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর গ্রামের যুবদল নেতা আনিস মোল্লা আওয়ামী সাংস্কৃতিক লীগের নঈম মোল্লার দোকোন থেকে বাকী খাওয়ার পর টাকা না দিয়ে ত্রাস সৃষ্টির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৪/১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭ জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দয়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জনায়, কাহালপুর তেতুলবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নঈম মোল্লার একটি মুদি দোকান রয়েছে। যুবদল নেতা আনিস মোল্লা প্রায়ই দোকান থেকে বাকী কেনে। কিন্তু কোনো টাকা দেয় না। গত শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে আনিস মোল্লা দোকানে গেলে নঈম আনিসের কাছে বাকী টাকা চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। জুম্মার নামাযের পর আনিস মোল্লার নেতৃত্বে খায়ের মোল্লা, মফিজ মোল্লা, ছিদ্দিক মোল্লা ও শামীম মোল্লাসহ ১৫/১৬ জন বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মী রামদা, বাশের লাঠি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড নিয়ে তাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় এবং তিনজনকেই মারপিট করে আহত করে। খবর পেয়ে মিজানুর শেখ ঠেকাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে যখম করে।
এ খবর গ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় ছাড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা ছুটে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষে ১৪/১৫ জন আহত হয়।
আহতদেরকে প্রথমে মোল্লাহাট হাসপাতালে এবং পরে তানভিন মোল্লা, বাচ্চু মোল্লা, খায়ের মোল্লা, আনিস মোল্লা, মফিজ মোল্লা, জাফর মোল্লা ও শামীম মোল্লাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আহত সিদ্দিক মোল্লা ও মিজানুর শেখ মোল্লাহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাকীদেরকে মোল্লাহাট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মোল্লাহাটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে শুক্রবার রাতে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংঘর্ষের খবর জেনেছি।তবে দলীয় ঘটনা কি না তা আমার জানা নেই। কেউ মামলা করতে আসেনি।