আরিফুর রহমান,বাগেরহাট : আধিপত্য বিস্তার ও গ্রাম্য কোন্দলে আলোচিত বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার পল্লীতে এবার দুই পক্ষের বিরোধ কে কেন্দ্র করে নিরীহ মানুষদের বসতবাড়ী , দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে দুবৃর্ত্তরা। উপজেলার নতুন ঘোষগাতী এলাকায় শনিবার সকালে এ ঘটনার পর অভিযোগ তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ শেখ লুৎফর রহমান নাজির (৫৫) জানান, তিনি অতি সাধারন মানুষ কোন দলাদলি বা বিরোধ করেন না, অথচ এলাকার আলম মেম্বারের নেতৃত্বে একদল দুবৃর্ত্ত সকাল বেলা তার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে নেয়। সব মিলিয়ে তার প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। অপর ক্ষতিগ্রস্ত একই এলাকার মোঃ রাজিব শেখ (৩৮) জানান, কোন দল না করার পরেও তার দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে আলম মেম্বারের দলভুক্তরা।
এছাড়া এলাকার বেলয়েত শেখ, সিদ্দিক শেখ ও কামরুল মিয়ার বসতবাড়ীতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় নগদ টাকা ও মালামাল লুট করা হয়। ক্ষতিগ্রস্থরা এ ঘটনা মোল্লাহাট থানা পুলিশ কে জানিয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, ঘোষগাতি ঘাটবিলা গ্রামের আলম মেম্বারের গ্রুফ ও নতুন ঘোষগাতী গ্রামের মহিলা মেম্বারের স্বামী সাগর ও সাবেক মেম্বার ফোরকানের আরেকটি দল রয়েছে।
ওই দুই দলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে প্রকাশ্য বিরোধ চলে আসছে। মারামারি চলে আসছে কয়েক দফায়। যা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে শনিবার সকালে আলম মেম্বারের নেতৃত্বে শতাধিক লাঠিয়াল নতুন ঘোষগাতী গ্রামের নিরীহ ৬/৭ টি পরিবারের বাড়ী ঘর ও ২ টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার ওসি সোমেন দাশ বলেন আগের রাতে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ারকালে, পুলিশী বাধার মুখে থেমে যায়। পরে আার সংঘর্ষে জড়েেব না মমে দুই গ্রুপর্ই প্রতিশ্রুতি দেয়। অথচ রাত শেষ হতে না হতেই আবার সংঘর্ষের প্রস্তুতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় ওই এলাকায় এখন পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
(ঊষার আলো-এফএসপি)