আরিফুর রহমান, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞ্যহাটি ইউনিয়নের আমতলা বাজারের মহিদুলের দোকানঘর জোরদখল করেছে পাশর্^বর্ত্তি পুটিখালি ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা । মহিদুলের আয়ের উৎস ওই দোকানঘরটি দখলমুক্ত করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে দফায় দফায় আবেদন করেও কোন প্রতিকার পায়নি মহিদুল ইমসলাম।
উপায়ন্তর না পেয়ে আমতলা বাজারের দোকানদার মহিদুল ইসলাম গত ১৭ জুলাই এলাকার সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলনের কাছে আবেদন করেছেন। সংসদ সদস্য মহিদুলের আবেদন আমলে নিয়ে তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মোড়েলগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ, শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা গেছে। সংসদ সদস্য বরাবরে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, আমতলা বাজারের আব্দুল জলিল শেখের ছেলে মহিদুল ইসলাম শেখ মায়ের সম্পত্তিতে বসতঘর ও ঘারের সাথে দোকান নির্মান করে দীর্ঘ বছর ব্যবসা করে আসছেন। দোকানটি লাভ জনক হওয়ায় নজর পড়ে পাশর্^বত্তি পুটিখালী ইউনিয়নের পুটিখালী গ্রামের আলম শেখের ছেলে রানা শেখ ও পলাশ শেখের। কারন ওই দোকানের কিছু কাছে তাদের জমি আছে। রানা ও পলাশ কৌশল করে পুটিখালী ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই বাবুল শেখের সহযোগিতায় জোর পূর্বক ওই দোকানের সামনের অংশ দখলে নেয় এবং বসতঘরের জমিও দখল করার চেষ্টা করে।
গত বছর ৫ ডিসেম্বর সকালে এ ঘটনার সময় বাধা দিতে গেলে ওই সন্ত্রাসীরা আমার বৃদ্ধা মা জমির মুল মালিক শাহিদা বেগম (৭০) কে মারপিট করে। যা নিয়ে মোড়েলগঞ্জ থানা পুলিশ, দৈব্যজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বর একাধিকবার সালিশ বৈঠক করে আমার দোকান দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত দিলেও দখলবাজরা দখল ছাড়েনা। বরং প্রান নাশের হুমকী অব্যাহত রেখেছে। বৃদ্ধা শাহিদা বেগম বলেন আমার পিতার দেয়া সম্পত্তিতে আমার ছেলে বসতঘর ও সাথে দোকান নির্মান করে ভোগদখল করে আসছে। এখন লাঠিয়ালরা জোর দখল করছে। আমার ছেলেটি নীরিহ শান্ত মানুষ। ঘটনার পর থেকে আমরা চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশের কাছে বিচার চেয়েও পায়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মহিদুল ইসলাম ও তার ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, মোড়েলগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সময়ের আলোচিত সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান বাবুল সেখ দীর্ঘদিন পলাতক থেকে আবার প্রকাশ্য হয়েছে। তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক শেখ পুটিখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান হওয়ার পর বাবুল শেখ আবারও এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে। আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামছুর রহমান মল্লিকও সন্ত্রাসী বাবুলের বিরুদ্ধে সালিশ করতে পারছেনা। গত ২০ মে মোড়েলগঞ্জ থানার গোল ঘরে পুলিশ উভয় পক্ষের আইনজীবি ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে সালিশ বৈঠক করে মিমাংসা করে দিলেও জোরদখলবাজরা তা মানে নাই।
দৈব্যজ্ঞ্যহাটি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামছুর রহমান মল্লিক বলেন মহিদুল ইসলামের দোকান দখল বিষয়ে একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। থানা পুলিশও সালিশ করেছে কোন ফল হয়নি বলে জেনেছি।
এ বিষয়ে মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সাঈদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা এখানে থানা পুলিশের করনীয় কিছু নাই। তারপরও সংসদ সদস্যের নিদের্শনায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করছি।