যশোর প্রতিনিধি : ভালোবাসায় প্রতারিত হয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী খুশি (১৩) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (২ মে) গভীর রাতে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে সে গলায় ফাঁস দেয়। সোমবার (৩ মে) ভোরে পরিবারের লোকজন তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। খুশি যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের চান্দুটিয়া গ্রামের ইকরামুল ওরফে ইকরাম সরদারের মেয়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, জীবন দিয়ে ভালোবাসার প্রমাণ দিয়ে গেলো খুশি। তার মৃত্যুর জন্য পরিবারের লোকজন একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রকিকে দায়ী করেছেন। তাদের দাবি, বিয়ে করতে অস্বীকৃতি করার কারণে খুশি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
জানা যায়, খুশি চান্দুটিয়া এমআই দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। ৬ মাস ধরে রকির সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিভিন্ন জায়গার তাদের একান্তে কথা বলতেও দেখেছে প্রতিবেশীরা। মোবাইলেও কথা বলতো। রোববার (২ মে) বিকেলে তারা চান্দুটিয়ার পশ্চিম মাঠে দেখা করে। এরপর থেকে মন খারাপ ছিলো খুশির।
ইকরাম সর্দার জানান, ঘটনার রাতে আমার স্ত্রী ও মেয়ে এক ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। গভীর রাতে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার কারণে স্ত্রী আমার কাছে আসে। এরপর ভোরে দেখতে পায় খুশি ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে।
আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য রকি দায়ী। রকিকে ভালোবাসার কারণেই আমার মেয়ে অকালে না ফেরার দেশে চলে গেলো। এই ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
খুশির স্বজনরা জানিয়েছেন, রোববার রাত ১ টার পর খুশি মোবাইলে ২ মিনিট ২৩ সেকেন্ড রকির সাথে কথা বলেছে। সেটি ছিলো মোবাইলের শেষ কল। কথা বলার পরেই সে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক রকির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন তারা।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সোমবার সকাল থেকেই রকি গা ঢাকা দিয়েছে।
এই বিষয়ে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুকুমার কুন্ডু জানান, রকি নামে এক ছেলের সাথে খুশির সম্পর্ক ছিলো বলে জানতে পেরেছি। বিয়ে করতে অস্বীকার করায় সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাশের ময়নাতদন্ত যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)