ঊষার আলো রিপোর্ট : আগামী ২৪ নভেম্বর যশোরে জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই জনসভা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ওই জনসভা। বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন সোমবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বর্ধিত সভায় সমাবেশে ৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর কথা বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে জনসমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের স্থান সংকুলানের জন্য যশোর স্টেডিয়ামের সীমানা ভেঙে মাঠ বড় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় শেখ হেলাল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আমরা পালাব না ওরা পালাবে। ওদের সঙ্গে ২৪ নভেম্বরের পর দেখা হবে। সোজা কথা, ওরা থাকবে নয় আমরা থাকব। বাড়াবাড়ি করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম।
তিনি বলেন, বাংলার মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। আমরা কোনো জনসভার জবাব দিতে চাই না। এ দেশ আমাদের, এ দেশ শেখ হাসিনার। যারা এ দেশকে রক্তাক্ত করতে চায়, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়- তাদের কোনো ঠাঁই স্বাধীন বাংলার মাটিতে হবে না।
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার সংসদ সদস্যগণ এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোরের জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর তার জনসমাবেশকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যশোর স্টেডিয়ামে এ সমাবেশের আয়োজন করা হবে। সমাবেশে ৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটানো হবে। আগতদের স্থান সংকুলানের জন্য স্টেডিয়ামের উত্তর অংশের সীমানা ভেঙে পার্শ্ববর্তী কলেজ মাঠের সঙ্গে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ সমাবেশে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।