ঊষার আলো রিপোর্ট : যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া নৌ-বন্দরে নোঙর করা দুটি লাইটার জাহাজ থেকে সার চুরির ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। একই সঙ্গে লুট করা ৮০ টন ডিএপি সার উদ্ধার করা হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার পাঁচ জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যশোর ডিবির ওসি রূপম কুমার সরকার।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, অভয়নগর উপজেলার বাহিরঘাট এলাকার নবাব আলী গোলদারের ছেলে হুমায়ুন কবীর, তেঁতুলতলা মসজিদ এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন, ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের অমল শিকদারের ছেলে অনিমেষ শিকদার, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কলমিগুনিয়া গ্রামের সুদান্ন সরকারের ছেলে ভূপাল সরকার, পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম শিকারপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ফয়সাল মোরশেদ সজীব, ঝাটকাটি গ্রামের বিমল সরকারের ছেলে লিখন সরকার, কুমিরমারা গ্রামের মোবারক আলী শিকদারের ছেলে আক্কাস আলী শিকদার, যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের আব্দুর রহিম মোড়লের ছেলে তরিকুল ইসলাম ও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মেছেরশাহ সড়কের আবুল কালামের ছেলে পারভেজ আহমেদ রাজু।
রূপম কুমার সরকার বলেন, সরকারের ভর্তুকি দেওয়া ডিএপি সার আমদানির দরপত্র পায় যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার মেসার্স আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটি চীন থেকে ১৩০০ টন ডিএপি সার আমদানি করে। মোংলা বন্দরে সার খালাসের পর তা দুইটি লাইটার জাহাজের মাধ্যমে নওয়াপাড়া নৌ-বন্দরে আনা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বন্দরের নোঙর করা লাইটার জাহাজ থেকে কর্মীদের সহায়তায় গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা ১২০ টন সার চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনায় পর দিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভয়নগর থানায় মামলা করা হয়।
ওসি আরও বলেন, মামলা হওয়ার পর সার উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ। এরপর সোম ও মঙ্গলবার যশোরের নওয়াপাড়া, বাগেরহাট, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া ১২০ টন সারের মধ্যে ৮০ টন সার উদ্ধার করা হয়। এসময়ে জড়িত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ