ঊষার আলো ডেস্ক : যশোরের বারীনগর সাতমাইলের আব্দুল বারী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি ও বিক্রির টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে হরিলুটের ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে ললিতাদাহ গ্রামের সাদ্দাম মির্জা এই অভিযোগ করেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লাভলুকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের দাবি অভিযোগ পুরোপুরি সঠিক নয়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লাভলু সিরাজ গত ১১ এপ্রিল গোপনে দুইটি লম্বু গাছ বিক্রি করে। এর আগেও তারা ১৫ টি মেহেগনি ও জামগাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছে। ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তারা প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের গাছ বিক্রি করে চলেছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক গাছ বিক্রির টাকা স্কুল ফান্ডে জমা না দিয়ে নিজেরা আত্মসাত করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে বিদ্যালয়ের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের একজন সদস্য গাছ বিক্রি করেছেন। তিনি রক্ষা পাওয়ার জন্য আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। গাছ বিক্রি ও টাকা আত্মসাতের সাথে আমি জড়িত না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান লাভলু জানান, ম্যানেজিং কমিটির লেজুলেশনের পর দুটি লম্বু গাছ বিক্রি করা হয়েছে। তবে গাছ বিক্রির বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়নি এটা সত্য।
দাতা সদস্য সাজেদুল ইসলাম মিন্টু জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন ছাড়াই নিজেরা প্রভাব খাটিয়ে গাছ বিক্রি করেছেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম জানান, অভিযোগ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।