ঊষার আলো রিপোর্ট : খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিজ জাতীয় কিছু ছত্রাক অসুখ এ সময়ে হয়ে থাকে। ভিজে শরীর ভালোভাবে না মুছে, ভিজে কাপড় ভালোভাবে না শুকিয়ে গায়ে দেওয়া, রোদ না থাকায় স্যাঁতসেঁতে ইত্যাদি কারণে বর্ষাকালে ত্বকের বেশকিছু অসুখ হয়। তাই, বর্ষার এ অসুখ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হলে সব সময় তোয়ালে, ব্রাশ, চিরুনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শুকনো রাখতে হবে।
* টাইফয়েড জ্বর
পানিবাহিত রোগের মধ্যে একটি হলো টাইফয়েড। ব্যাকটেরিয়া যুক্ত পানি বা খাবার এ রোগের জন্য দায়ী। হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণ করতে হবে। যথাসম্ভব রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
* ভাইরাস জ্বর
সারা বছর লেগে থাকলেও বর্ষায় এ জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় এ জ্বর, সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি, হাত-পা ম্যাজ-ম্যাজ করা, দুর্বলতা, খাবারে অরুচি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
* জণ্ডিস
এ রোগের প্রধান উৎস দূষিত পানি। হেপাটাইটিস বা জণ্ডিসের ফলে রোগীর প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়। রোগী দুর্বল, বমি ভাব, খাবারের প্রতি অনীহা বোধ করে। লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্রম কমতে থাকে।
* ছত্রাক সংক্রমণ
ঘাম বা পানিতে বেশিক্ষণ ভেজা থাকলে পায়ের আঙুলের ফাঁকে, কুঁচকিতে, মাথায় ও চুলে ছত্রাক সংক্রমিত হয়। ছত্রাক সংক্রমণে ছত্রাকনাশক ক্রিম এবং চুলে বিশেষ শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।
* কৃমি সংক্রমণ
বর্ষাকালেই কৃমির প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। এ সময় পানি আর কাদামাটিতে মিশে থাকে এ পরজীবী জীবাণু। তাই অন্য যে কোনো ঋতুর তুলনায় বর্ষায় খুব সহজেই কৃমির সংক্রমণ ঘটে। এ সময়ে সবার কৃমির ওষুধ সেবন করা উচিত।
ঊষার আলো-এসএ