UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের বলি চিতলমারীর গৃহবধূ লতিকা !

koushikkln
ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ ৪:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আরিফুর রহমান, বাগেরহাট : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা পল্লীতে স্বামীর চাহিদা অনুযায়ী যৌতুকের টাকা এনে দিতে না পেরে অসহায় অবস্থায় পড়ে লতিকা হালদার (৩৫) নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তবে লতিকার পিতা যশবন্ত হালদার বলছেন তার মেয়েকে জোর করে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করছেন। মৃত লতিকা হালদার চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের কানাই লাল মজুমদারের স্ত্রী। এ দম্পত্তির পাঁচ বছর বয়সী একটি শিশু মেয়ে রয়েছে।

বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্যমতে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টার দিকে বিষ খাওয়া অবস্থায় লতিকা হালদার কে প্রথমে চিতলমারী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ দিন রাত সাড়ে ১১ টায় এখানে তাঁর মৃত্যু হয়। গৃহবধূ লতিকার পিতা যশমন্ত হালদার রবিবার সকালে জানান, গত ৭ বছর আগে কানাই লাল মজুমদারের সাথে মেয়ের বিয়ে দিছিলাম। বিবাহের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে জামাতা কানাই এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। কয়েকদিন আগে মাইক্রোবাস কেনার জন্য আরো ৪ লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা নিতে দুইদিন আগে লতিকা আমাদের বাড়িতে আসে। তাঁকে অতটাকা একসঙ্গে দিতে পারিনি। বলেছিলাম জমি বিক্রি করে পরে দিব। এরপর লতিকা টাকা না নিয়েই শ্বশুরবাড়ি ফিরে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরে কানাই লালসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারপিট আহত করার পর তাকে জোর করে বিষ পান করায়। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।

এদিকে ওই গৃহবধূর শ্বশুর বিবেকানন্দ মজুমদার বলেন, ইলিশ মাছ ও বোয়ালমাছ কাটা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ হয়। এ নিয়ে লতিকা বিষ পান করে। পরে হাসপাতালে নিলে সে মারা যায়।

এ ব্যাপারে চিতলমারী ওসি এএইচএম কামরুজ্জান খান বলেন, ওই গৃহবধূর মৃত্যু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হয়েছে। সেখান থেকে তার ময়না তদন্ত রির্পোট এখনো আসেনি। রির্পোট আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া লতিকার পিতার পক্ষ থেকে অভিযোগ করলে সেটিও গৃরুত্ব সহকারে দেখা হবে।