ঊষার আলো রিপোর্ট : ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রবিবার (১৭ জুলাই) থেকে ফের বাড়তে পারে লোডশেডিং। এ দিন থেকে পুরোদমে শিল্প-কারখানা চালু হওয়ায় এ আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে পরিস্থিতি কী হতে পারে তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা।
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, মঙ্গলবার (১২ জুলাই) থেকে অফিস-আদালত খোলা হলেও এখনো বেশিরভাগ শিল্প-কারখানা চালু হয়নি। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখনও বিদ্যুতের চাহিদা কম। তাই চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে। অবশ্য আগামী রবিবার থেকে কারখানাগুলোও চালু হয়ে যাবে। তখন থেকে আবার বিদ্যুতের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ তখন গ্যাস সংকটে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। ফলে চাহিদার তুলানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ না করতে পেরে লোড শেডিংয়ে যেতে হবে বিতরণ কম্পানিগুলোকে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবির) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট। এর প্রায় পুরোটাই এখন সরবরাহ করার পরিস্থিতি তাদের রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিল্প-কারখানা এখনো পুরোপুরিভাবে চালু না হওয়ায় আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবারহ করছি। তারপরও বিভিন্ন এলাকায় লোড শেডিং হচ্ছে। আগামী রবিবার থেকে আবার লোড শেডিং শুরু হবে। কারণ রবিবার থেকে সবকিছুই চালু হলে বিদ্যুতের চাহিদা আবার বেড়ে যাবে। তখন বাধ্য হয়েই আমাদের লোড শেডিংয়ে যেতে হবে।
সূত্রমতে, রবিবারের পর বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াটে চলে যাবে। গ্যাস সংকট থাকায় সর্বোচ্চ সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। এই হিসেবে দেশে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকতে পারে।