UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক প্রভাবে শেকৃবিতে ইমাম পদায়ন

ঊষার আলো
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট :  স্বেচ্ছাচারিতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে নীতিমালার বাইরে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে মসজিদের মোয়াজ্জিনকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সিনিয়র পেশ ইমাম মো. আবুল কালাম। অথচ, নীতিমালা অনুযায়ী তার সিনিয়র পেশ ইমাম হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। তিনি যোগদান করেন মোয়াজ্জিন হিসাবে এবং সিনিয়র মোয়াজ্জিন হিসাবে তার অবসরে যাওয়ার কথা।

জানা যায়, নিজেকে সব সময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য ও উলামা লীগের নেতা হিসাবে পরিচয় দেওয়া আবুল কালাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে মোয়াজ্জিন হিসাবে যোগদান করেন ২০০৪ সালে। এর তিন বছর পর তাকে প্রথম পর্যায়োন্নয়ন দিয়ে ইমাম পদে পদায়ন করা হয়।

এর তিন বছর পর ২০১০ সালে দ্বিতীয় পর্যায়োন্নোয়ন দিয়ে সিনিয়র ইমামে পদায়ন করা হয়৷ কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী মোয়াজ্জিন থেকে ইমাম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং দুটি পর্যায়োন্নয়ন পেতে কমপক্ষে আট বছর চাকরিতে থাকতে হয়। অথচ, এক্ষেত্রে পদোন্নতির ধারা এবং চাকরির সময়কাল দুটিতেই ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে তাকে সিনিয়র ইমাম থেকে সিনিয়র পেশ ইমামে পদায়ন করা হয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সিনিয়র ইমাম থেকে প্রথমে পেশ ইমাম ও পরবর্তীতে সিনিয়র পেশ ইমামে পদায়ন করতে হয়। এক্ষেত্রে তাকে সিনিয়র ইমাম থেকে সরাসরি সিনিয়র পেশ ইমাম করা হয়েছে।

এভাবে একই ব্যক্তিকে নিয়ে একাধিকবার পর্যায়োন্নয়ন, পদোন্নতি ও পদোন্নতির ধারা পরিবর্তন করে সুস্পষ্ট দুর্নীতি পরিলক্ষিত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয় এবং মোয়াজ্জিন আবুল কালামের ন্যায় আরও ২৯ জন কর্মচারী একই প্রক্রিয়ায় পদোন্নতির আবেদন জানান।

সামগ্রিক বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, আমি জোর করে কোনো পদোন্নতি নিইনি। সেসময় সিলেকশন বোর্ড করে আমাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদের স্মরণিকায় তার ছবি প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছবি সে জায়গায় কে বা কারা ব্যবহার করেছে তা আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।

ঊষার আলো-এসএ