ঊষার আলো ডেস্ক : সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শ্রমিক দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধ্বসের আট বছর আজ। ২০১৩ সালের আজকের এই দিনে এ ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায় এক হাজার ১৩৬টি তাজা প্রাণ। আহত হন আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন তারা পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
অপরদিকে দীর্ঘ আট বছরে চারটি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে একটি মামলা। সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে রানা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা ওই মামলাটি ছাড়া বাকি তিনটি মামলা নিষ্পত্তির মুখ দেখছে না। এরমধ্যে হত্যা ও ইমারত আইনের রাজউকের মামলাটি এখনও সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ‘দুজন আসামির পক্ষে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য খোঁজ খবর নিলেও সাক্ষ্য নিতে পারছেন না রাষ্ট্রপক্ষ। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হবে।’
সূত্র জানায়, দুই কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন সোহেল রানা। তিনি সাভারের এক চিকিৎসক মোশাররফ হোসেনের কাছ থেকে দুই লাখ টাকায় ১০ শতাংশের কিছু বেশি জমি কিনে সাভার পৌরসভায় ১২তলা ভবন তৈরির জন্য আবেদন করেন। ২০০৮ সালে কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালে আটতলা পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ হয়।
এ দিকে একটি সূত্র জানায়, সোহেল রানার বিরুদ্ধে আরো চারটি মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়লে ২৯ এপ্রিল বেনাপোলে র্যাবের হাতে তিনি গ্রেফতার হন।
এদিকে শ্রমিক নেতারা বলেন, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয় শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা এবং সোহেল রানার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারের পুনর্বাসন করার দাবি জানান।
(ঊষার আলো-এমএনএস)