গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীর হামলায় কাশ্মীরে ২৬ পর্যটকের নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানের ওপর দায় চাপায় ভারত। এরপর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে। পরে সেই উত্তেজনার মধ্যেই নতুন করে ফ্রান্সের সঙ্গে ৬৩০ বিলিয়ন রুপিতে ২৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত।
আগে থেকেই নিজেদের বহরে থাকা ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান থাকার পরও নতুন করে ২৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করা নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, এই বিমানগুলির সরবরাহ ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এবং ক্রুদের ফ্রান্স এবং ভারতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর এই চুক্তির ফলে দেশটির প্রতিরক্ষাবিভাগ আরও শক্তিশালী হবে।
তবে সম্প্রতি পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে পাল্টা হামলায় বিমানগুলো ভূপাতিত হওয়ায় এর কার্যকারিতা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
ভারতীয় বিমান বাহিনী বর্তমানে ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান পরিচালনা করলেও নৌবাহিনীর বিমান বহরে রয়েছে রাশিয়ান মিগ-২৯ জেট। সেই মিগ-২৯ জেটও হামলা থেকে বাঁচতে পারেনি। একটি মিগ-২৯ জেট ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এখন রাফায়েল যুদ্ধবিমান।
রাফায়েল জেটের বিশেষত্ব হলো এটি ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। এটি সক্রিয় জ্যামিং, হুমকি সনাক্তকরণ, রাডার ডিকয় এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং শত্রু রাডারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা আছে। ইউরেশিয়ান টাইমসের মতে, এই সিস্টেমটি ১৪৫ কিলোমিটার পরিসরে ৪০টি লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে পারে এবং সেগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম। সবশেষ চুক্তি অনুযায়ী যার একেকটির বর্তমান মূল্য ২৪ বিলিয়ন রুপিরও বেশি।
তবে পাকিস্তানের হামলায় ৩টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার পর এই চুক্তি এক অনিশ্চয়তার মুখে। কেননা, যেই উদ্দেশ্যে ফ্রান্সের সঙ্গে এই চুক্তিটি করেছিল ভারত। অর্থাৎ এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করা। সেটা এই ঘটনার পর এখন হুমকির মুখে। তাই বিশ্লেষকদের মতে, চুক্তিটি যেহেতু মাত্রই হয়েছে তাই ভারত হয়তো এই চুক্তি নিয়ে এখন বাস্তবিক অর্থেই ভাববে।
ঊষার আলো-এসএ