UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিমালে বিধ্বস্ত রায়েন্দা ফেরিঘাট সংস্কার হয়নি, বন্ধ ফেরি পারাপার

ঊষার আলো ডেস্ক
জুলাই ১৬, ২০২৪ ৮:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হওয়া বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক ও জেটি দেড় মাসেও সংস্কার করা হয়নি। ফলে বলেশ্বর নদের রায়েন্দা-মাছুয়া সড়ক বিভাগের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। ফেরি না চলায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে বাগেরহাটের মোংলা ও মোরেলগঞ্জ রুটে বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।

এমনাবস্থায় মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ট্রলারে করেই এখন নদী পার হচ্ছেন।এই অবস্থায় সাধারণ যাত্রী, গাড়ি চালক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দ্রুত ঘাট সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

মঠবাড়িয়া-মোংলা রুটের বাস চালক এমাদুল হক, যাত্রী এনজিও কর্মী শঙ্কর সাহাসহ রায়েন্দার ব্যবসায়ী ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মাছুয়া ও বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা বলেশ্বর নদ। আর এই বলেশ্বর নদের দুই পাড়ের মানুষের চলাচল যুগ যুগ ধরে পারাপার করছে কখনো ট্রলার আবার কখনো লঞ্চে করে। এই অবস্থা লাঘপে সড়ক বিভাগ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি কল্পে ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর রায়েন্দা-মাছুয়া মধ্যে বলেশ্বর নদে ফেরি চলাচল শুরু হয়। ওই দিন থেকেই পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে শরণখোলা, মোংলা ও মোরেলগঞ্জসহ বাগেরহাটের সাথে বাস চলাচলও শুরু হয়। সেই থেকে মানুষ যানবাহনসহ স্বল্প খরচে ফেরিতে করে নদী পারাপার করে আসছিল।

গত ২৬ মে ঘূণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে রায়েন্দা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক ও জেটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। রায়েন্দা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক ও জেটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার পর ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এসব রুটে বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রলারে করে নদী পার হন। ঘাট বিধ্বস্ত হওয়ার দেড় মাস পেড়িয়ে গেলেও শুরু হয়নি ওই ঘাটের জেটি ও সংযোগ সড়কের কাজ। এখন ঝুঁকি নিয়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দিয়ে ট্রলারে করে যাত্রীদের বলেশ্বর নদ পার হতে হয়। ফেরি থাকলে মাত্র ১০টাকায় যাতায়াত করা যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছে বলেশ্বর নদের দুই পাড়ের হাজার হাজার যাত্রী ও সাধারণ মানুষ।

বাগেরহাট সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, রায়েন্দা-মাছুয়া ফেরিঘাটটি সংযোগ সড়কসহ জেটি ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরই মধ্যে রায়েন্দা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক ও জেটি সংস্কারে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। খুব শিগগিরই ঠিকাদারের মাধ্যমে সংযোগ সড়ক ও জেটি সংস্কার শুরু করা হবে। সংস্কার শেষ হলে আবারও ফেরি চালু করা হবে। এজন্য আরও কিছু দিন সময় লাগবে।