ঊষার আলো রিপোর্ট : সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ টেপা হয়েছে বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা লক্ষ করা গেছে। একটি মহল তার এ বক্তব্যকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার লক্ষ্যে নানা বিভ্রান্তি ছড়াতে শুরু করে।
রিসেট বোতাম টেপা নিয়ে ব্যাখ্যায় প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস যখন রিসেট বোতাম টেপার কথা বলেছিলেন, তখন তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি থেকে একটি নতুন সূচনার কথা বলেছেন। কারণ আগের শাসনামলে বাংলাদেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং ভোটের অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। তিনি এই শব্দটিকে লক্ষ লক্ষ শহীদ ও বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাসকে মুছে ফেলার অর্থে ব্যবহার করেননি।
বিবৃতিতে বলা হয়, রিসেট বাটন চাপা হয়েছে অর্থ হলো- নতুন করে শুরু করার কথা বলা হয়েছে। যেমন সফটওয়্যার চালু করা হয়, কিন্তু এর অর্থ হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা নয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার।
ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেওয়া অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারকে কিছু মানুষ ভুল ব্যাখ্যা করছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে গত ৮ আগস্ট ঢাকায় আসার পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান ছিল আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা- প্রথম স্বাধীনতা ছিল ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ।
প্রফেসর ইউনূস মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশ নাগরিক কমিটি গঠন করেন। যা পরবর্তীতে মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে রাজি করানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচারণা চালায়। তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ নিউজ লেটার প্রকাশ করেন।
এর আগে বুধবার রিসেট বাটনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘রিসেট বাটন বলতে স্যার (প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) যেটা বলেছেন— তা হচ্ছে ‘ব্যবস্থা’। এটা কোনোভাবেই ৭১ নয়, কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধ নয়।
ঊষার আলো-এসএ