রূপসায় গরুর মাংস বেচা-কেনাকে কেন্দ্র করে নিহত আরিফ হত্যাকাণ্ড মামলার মূল আসামি জুয়েল শেখের লাশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। কসাই জুয়েল উপজেলার সিংহের চর আইচগাতী এলাকার জনৈক জহুর শেখের ছেলে।
রূপসা থানার ওসি মো: মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন আরিফসহ কয়েক জনের ওপর হামলার পর জুয়েলকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে আত্মরক্ষার্থে সে নদীতে ঝাপ দেয়। এরপর থেকে আর তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। রোববার সকালে নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে জুয়েল শেখের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওসি আরও বলেন, আরিফ হত্যকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা মো: আলী হোসেন শেখ বাদি হয়ে শনিবার রাতে রূপসা থানায় মামলা হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। আরিফ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ছিলো জুয়েল।
নিহত আরিফের বাবা মো: আলী হাসান শেখ বলেন, আমার ছেলে আরিফ কোন কসাই ছিলেন না। সে বিভিন্ন জায়গায় রাজমিস্ত্রির সাথে জোগালি হিসেবে কাজ করতো। দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে আরিফ সবার ছোট। ওই দিন সে বন্ধু-বান্ধবের সাথে রূপসায় যায়। পরে জানেত পারেন আরিফকে চাপাতি দিয়ে কোপানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শনিবার তার ছেলেকে বসুপাড়া কবরস্থানে মাটি দেওয়ার পর রূপসা থানায় গিয়ে রুবেল শেখ, জুয়েল শেখ, আজিজ খা, লিয়াকত শেখ ও আমিন শেখের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার সদর থানা এলাকার রাজ মিস্ত্রির হেলপার আরিফ রূপসা উপজেলার সেনের বাজার এলাকার রুবেলের মাংসের দোকানে টাকা আনতে যায়। সেখানে গেলে মাংস বিক্রেতা জুয়েল ও রুবেলের সাথে আরিফের কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যাযে তারা দু’ভাই আরিফকে ধারালো চা পাতি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। প্রথমে তাকে খুলনা সদর হাসপাতালে এবং পরে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঊআ-বিএস