UsharAlo logo
বুধবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লেবাননের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত জনগণের জন্য ‘উন্মুক্ত করিডর’ করবে ইরান

usharalodesk
অক্টোবর ১৩, ২০২৪ ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক: আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং বায়বীয় হুমকি সত্ত্বেও শনিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে সফরে গেছেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ। সেখানে তিনি বলেছেন, ইসরাইলি আক্রমণে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত- আহত লেবানিজ নাগরিকদের জন্য দ্রুত মানবিক করিডর স্থাপন করবে ইরান।

বৈরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে গালিবাফ বলেন, ‘রাজনৈতিক ইস্যুতে আমাদের বন্ধুদের বলা হয়েছে, লেবাননের জনগণ, লেবাননের সরকার এবং প্রতিরোধ যে সিদ্ধান্তই নেবে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান তা সমর্থন করবে’।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এখানে ঘোষণা করতে চাই যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এই কঠিন পরিস্থিতিতে লেবাননের জনগণ ও সরকার এবং প্রতিরোধের পাশে দাঁড়াবে’।

‘১৪৯তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগদানের জন্য বৈরুত থেকে জেনেভা যাবেন ইরানের জাতীয় সংসদের স্পিকার গালিবাফ।  তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পিকারদের সম্মেলনে ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিন এবং লেবাননের জনগণের দুর্দশা তুলে ধরবেন তিনি।  ১৩-১৭ অক্টোবর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

গালিবাফ বলেন, ‘এখান থেকে আমি জেনেভা যাচ্ছি অ্যাসেম্বলি অফ স্টেটসের (ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন-আইপিইউ) স্পিকারদের বৈঠকে অংশ নিতে।  আমি পার্লামেন্টের সব স্পিকারের কাছে লেবানন ও ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের বার্তা পৌঁছে দেব।’

এছাড়া ইরানি দূত বলেন, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিম মিকাতির সঙ্গে আলোচনায় যুদ্ধে আক্রান্ত মানুষদের সহায়তায় দ্রুত মানবিক করিডোর স্থাপনের ঘোষণা দেন।

‘মিকাতির সাথে বৈঠকে আমি ঘোষণা করেছি, ইরানের জাতি এবং সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমান করিডোরের মাধ্যমে লোকজনকে স্থানান্তর করতে প্রস্তুত।  লেবাননের তত্ত্বাবধানে আহত, বাস্তুচ্যুত এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত লোকদের সাহায্য করার জন্য আমরা দ্রুত এটি করবো’।

বিমান করিডোর হল, আকাশসীমার একটি মনোনীত পথ। যা একটি বিমানকে নিরাপত্তা এবং এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তার কার্যক্রমের সুযোগ দেবে। এর মাধ্যমে জরুরি সেবা সরবরাহ, বাস্তুচ্যুত মানুষদের স্থানান্তর করা যাবে।

ঊষার আলো-এসএ