যশোর প্রতিনিধি : অবশেষে শত বছর পর দখলমুক্ত হতে চলেছে বেনাপোলের হাকর নদ। চালু হতে যাচ্ছে জলপথ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে নদ খননের কাজ। ভারতের ইছামতী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত প্রবহমান হাকর নদ। ১৯৫৫ সালে নদের দুই পাড়ের প্রভাবশালী লোকজন দখল করে নেয়।
ভূমি কর্মকর্তাদের সহায়তায় ৬২ সালে হাকর নদ চলে যায় ব্যক্তি মালিকানায়। দীর্ঘ এ সময়ে নদটি দখলমুক্ত করতে শত চেষ্টা চললেও তা দখল মুক্ত করতে সফল হয়নি। যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, বেনাপোলের নারায়ণপুর থেকে বেনাপোল সাদীপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার খনন করা হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ২শ’ গজ উত্তরে হাকর নদের অবস্থান। বন্দরের সহ বেনাপোল এর আবাসিক এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য হাকর নদ খনন করা খুবই অপরিহার্য। ভারতের গঙ্গা, ইছামতী, ফারাক্কা ও কুদলা নদীর সীমান্তের সঙ্গে সংযুক্ত হাকর নদ। এক সময় বেনাপোল সীমান্ত- সংযুক্ত হাকর নদীপথে দুই দেশের মধ্যে চলাচল করত লঞ্চ ও রং-বেরঙের পালতোলা নৌকা। ভারতের কলকাতা, বনগাঁ, বশিরহাট থেকে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে বজরা নৌকা ভিড়ত বেনাপোলে।
নদটি ছিল এ অঞ্চলের জেলেদের মাছ শিকারের প্রধান ক্ষেত্র। মৎস্য, কৃষি ও ব্যবসায়ীদের জীবন-জীবিকার উৎস ছিল নদটি। বিশাল পরিসরে নদটির দুই পাড়ে গড়ে ওঠে সাদিপুর, নামাজগ্রাম, নারায়ণপুর, ধান্যখোলা, নাভারনসহ অসংখ্য গ্রাম।