ঊষারআলো ডেস্ক: ঈদের দিন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কুদ্দুস বেপারী নামে এক নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত কুদ্দুস বেপারী চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও চিতলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি।
আজ মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) সকালে ঈদের জামাত শেষে বাড়ি ফেরার পথে চিতলিয়া ইউনিয়নের মজুমদারকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৭ জন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার ও থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুন হাওলাদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে মজুমদারকান্দি গ্রামে ঈদের জামাত শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কুদ্দুস বেপারীসহ প্রায় ১৭ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আহতদের মধ্যে কুদ্দুস বেপারীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, দ্বিতীয় ধাপে চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বাতিলের পর নতুন করে ১৫ জুন পুনর্নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই হারুন হাওলাদার ও তার সমর্থকরা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। ঈদের দিনে পরিকল্পিকভাবে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে তারা। তাদের হামলায় চিতলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি কুদ্দুস বেপারী মারা গেছেন। পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হারুন হাওলাদার ও ছালাম হাওলাদারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে আজ ঈদের নামাজ শেষে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।