ঊষার আলো ডেস্ক : সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, যদি না তারা প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের পতনের পর রক্তপাত সমাধানে আঙ্কারার শর্ত মেনে না নেয়, তাহলে কুর্দিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাকান ফিদান সিএনএন তুর্কি টেলিভিশনকে বলেন, ‘কুর্দি নেতৃত্বাধীন পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) তুরস্কের দাবিতে সম্মত না হলে আমরা যা প্রয়োজন তা করব’।
এতে কী থাকতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সামরিক অভিযান’।
তুরস্ক ওয়াইপিজিকে নিজ দেশে ৪০ বছর ধরে তৎপর কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা মনে করে। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ে সশস্ত্র রাজনৈতিক দলটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মনে করে।পিকেকে তুর্কি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে বিদ্রোহে জড়িত।
তুরস্কের ‘স্পষ্ট’ আল্টিমেটাম
গত মাসে ইসলামপন্থি-নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের কাছে আসাদের পতনের ফলে আঙ্কারা নিষিদ্ধ ঘোষিত পিকেকের সাথে যোগসূত্রের অভিযোগে কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে সিরিয়ায় তুরস্কের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উত্থাপন করে আসছে।
ফিদান বলেন, ‘তুরস্ক, ইরান এবং ইরাক থেকে আসা আন্তর্জাতিক যোদ্ধাদের অবিলম্বে সিরিয়া ছেড়ে যেতে হবে। আমরা এখনই এই দিকে কোন প্রস্তুতি বা কোন অভিপ্রায় দেখতে পাচ্ছি না এবং আমরা অপেক্ষা করছি। আমরা আমেরিকানদের মাধ্যমে তাদের (ওয়াইপিজি) আল্টিমেটাম দিয়েছি তা স্পষ্ট’।
এর আগে সিরিয়ায় কুর্দি সশস্ত্র যোদ্ধারা হয় অস্ত্র সমর্পণ করবেন, নয়তো তাদের কবর রচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
গত ৯ বছরে, তুরস্ক তার সীমান্ত থেকে কুর্দি বাহিনীকে দূরে রাখতে সিরিয়ায় একাধিক স্থল অভিযান পরিচালনা করেছে।
ওয়াইপিজি মিলিশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের মদদপুষ্ট সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) প্রধান অংশ ও নিষিদ্ধ মিলিশিয়া গোষ্ঠী কুর্দি ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বর্ধিত রূপ হিসেবে বিবেচনা করে তুরস্ক। পিকেকে ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছে। ন্যাটো সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে পরস্পরবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়েছে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারা।
ঊষার আলো-এসএ