UsharAlo logo
শনিবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘শালা মালাউন তোর বাংলাদেশে কোন ঠাই নেই’ সন্ত্রাসী রানার হুমকি

ঊষার আলো প্রতিবেদক
এপ্রিল ২৫, ২০২৫ ১০:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে জান-মালের নিরাপত্তা ও মামলা নেয়ার দাবি ফুলতলা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সনজিত বসুর

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও আহতের ঘটনায় চারদিন অতিবাহিত হলেও ফুলতলা থানা আমার মামলা গ্রহণ করেননি। এই সুযোগে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান ছাব্বির হোসেন রানা শেখ আমার জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি সে বলছে-‘শালা মালাউন তোর বাংলাদেশে কোন ঠাই নেই। তুই ভারতে চলে যা, তা না হলে তোকে মেরে ফেলবো। আমি বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি। আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারের কাছে এ ঘটনার সুষ্টু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে ফুলতলা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সনজিত বসু এ দাবি জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বৈষম্যমুক্ত সরকার। সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান ছাব্বির হোসেন রানা শেখ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ফুলতলা থানা দায়ের এজহারটি গ্রহণ না করে আমার সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে। আমি একজন সংখ্যালঘু ব্যক্তি নিরূপায় হয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতাসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
লিখিত বক্তব্যে সনজিত বসু আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ফুলতলা উপজেলার সিকিরহাটে তার রড, সিমেন্ট, কয়লা ও সারসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান ছাব্বির হোসেন রানা শেখ (৩৮) ও তার সহযোগী হাফিজুর রহমান পরশ (৪২), হিরো কর (৪০), আলামিন (৩০), স্বপন কর (৪৫), হালিম (৪২), আনন্দ কর (৫৫), মুমিন সরদার (৫০), কল্যান কুন্তু (৫২) ও আকরাম (৪০) সহ ১৯/২০ জন হামলা চালিয়ে দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে তিনি যৌথবাহিনী, সেনাবাহিনী ও র‌্যাব এর নিকট লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনরায় তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এরপরও গত ২১ এপ্রিল (সোমবার) দুপুর ১২ টার দিকে উক্ত সন্ত্রাসীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দু’টি ট্রাক ও অফিস ভাংচুর করে। এ সময় অফিসে অবস্থানরত আকিজ কোম্পানীর অফিসার রাহাতুল, আরিফ, সোহেল, বিরু মোল্লা, আশরাফ সরদার ও সনজিত বসুর ভাই বাদল বসুসহ ৩০/৪০ জনকে মারধর কওে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, ঐ দিন সনজিত বসু মোটর সাইকেলযোগে নওয়াপাড়া যাওয়ার সময় বুড়িয়ারডাঙ্গা সরদার বাড়ীর সামনে গেলে সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নগদ ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নওয়াপাড়া পূবালী ব্যাংকের (একাউন্ট নং-৮৮২১) তার নিজ নামীয় একাউন্ট থেকে মুক্তিপন ও চাঁদা হিসেবে আরো ৭ লাখ ৯ হজার টাকা তুলে নেয়। যার ডকুমেন্ট ত্ওা কাছে রক্ষিত আছে। এছাড়া প্রতি মাসে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। অন্যথায় তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে ২০/৩০ বার করে মোবাইলে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

ঊআ-বিএস