নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ
খুলনায় ঝাড়ু– দিয়ে ৫ম শ্রেণীর একাধিক শিক্ষার্থীকে বেদম মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আল মামুন এর বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের মাঠে উচ্চশব্দে খেলা করার অভিযোগ এনে অমানষিক নির্যাতন করা হয় কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীদের। মঙ্গলবার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের ১৭ নং উত্তর বারাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবকমহলেও। নির্যাতনের শিকার ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সামিয়া বলেন রোজা ছিলাম তাই ‘টিফিনের সময়ে বিদ্যালয়ের মাঠে খেলা করছিলাম খেলা শেষ করে ক্লাসে ঢুকতে দেখি হেড স্যার ঝাড়ু– নিয়ে দাড়িয়ে আছে এক এক করে সব শিক্ষার্থীকে ঘাড়– দিয়ে পিটাচ্ছে আমাকে পিটাতে গেলে আমি ঠেকানোর চেষ্টা করলে আমার চোখের কোনায় লাগে এছাড়া আমার পিঠের কয়েকটি স্থানে পেটানো হয়। ছুটির পর বাড়ি এসে অভিভাবকদের জানালে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তারা।
গতকাল সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ের অফিস রুমে প্রধান শিক্ষক আল মামুন কে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং তার শাস্তি দাবি করেন। স্থানিয় বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী পাভেল হোসেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। অভিভাবকরা বলেন একজন সুস্থ মানুষ বাচ্চাদের এভাবে পেটাতে পারে না। আমরা প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি করছি।’শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুজিবর বলেন, শিক্ষকেরা অবশ্যই শাসন করতে পারেন কিন্তু তার মানে এই নয় যে ঝাড়ু– দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পিটাতে হবে। তার শাস্তি হওয়া দরকার।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ বলেন আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি এ ধরনের ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয় আমি শিক্ষা অফিসার এর সাথে কথা বলছি ঘটনা সত্য হলে তদন্তপুর্বক অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান। অভিযুক্ত শিক্ষক আল মামুনের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।