খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় রাতে নগরীর প্রাণকেন্দ্র শিববাড়ি মোড়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্রদল। উভয় পক্ষের শত শত নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে মুহুর্মমুহু মিছিল শ্লোগান দিলে পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি মশাল মিছিল ও শ্লোগান চলছিল। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল সেখানে।
কুয়েটের ঘটনার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৮টায় শিববাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট দেয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এ ঘোষণার পর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র ছাত্রীরা এসে জিয়া হল চত্বরে জমায়েত হয়। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে কুয়েটে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ইসলামি ছাত্র শিবিরের হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দৃস্টান্তমূলত শাস্তির দাবিতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিববাড়ি মোড়ে জমায়েত ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয় ছাত্রদল। কিছু সময় পর নগরীর সকল থানা ও ওয়ার্ড থেকে ছাত্রদলের পাশাপাশি বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসবেক দল, শ্রমিক দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হতে থাকে।
জিয়া হল চত্বরে অবরুদ্ধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মীরা এবং সামনের রাস্তায় ছাত্রদলের নেতৃত্বে পাল্টাপাল্টি শ্লোগান দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এ সময় ব্যস্ততম সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রদল মশাল মিছিল করলে কিছু সময় পরে শিক্ষার্থীরাও মশাল মিছিল করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হোটেল টাইগার গার্ডেনের সামনে বিকট শব্দে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে উভয় পক্ষের কয়েকজ নেতার দায়িত্বশীল ভূমিকার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিনহাজুল আবেদিন সম্রাট অভিযোগ করেন, কুয়েটের ঘটনা নিয়ে আমরা শিববাড়ি মোড়ে কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্ত হঠাৎ দেখলাম ছাত্রদল একই জায়গায় পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। আমার শহীদ ওয়াসিমের ছাত্রদলকে দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্ত কেউ যদি ছাত্রলীগের মতো আচরণ করে তার পরিণতি ছাত্রলীগের মতোই হবে।
খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মো: তাজিম বিশ্বাসের সাথে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। মহানগর বিএনপির বেশ কয়েকজন যুগ্ম আহবায়ক ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছেন। তবে কেউই অফিশিয়ালি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
ঊআ-বিএস