UsharAlo logo
শনিবার, ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শিশু কাশফিয়াকে হত্যা করে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তারা

ঊষার আলো
মার্চ ১৯, ২০২১ ২:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট ; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৮ বছরের শিশু কাশফিয়া ওরফে শেফা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক ২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসাইনের তৃতীয় আদালতে ২ আসামি হোসেন মিয়া ও রেশমা আক্তার (ছদ্মনাম) জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে তারা পুলিশের কাছেও সত্যতা স্বীকারসহ হত্যাকাণ্ডের পরে কিছু ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে।
জবানবন্দিতে হোসেন মিয়া (২৫) ও রেশমা আক্তার (১৯) বলেন, মূলত শিশুর কানের স্বর্ণের দুল (কানের অলংকার) নেওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নেওয়া হয়েছে। দুল নেওয়ার সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে প্রথমে গলা টিপে ও পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর লাশের পাশেই তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরে একটি ঝোপে নিয়ে মরদেহ ফেলে দেন তারা। হত্যার সঙ্গে জড়িত রেশমা আক্তার খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি গিয়ে গোসল করে ঘুমিয়ে পড়ে।
সরাইল থানার পরিদর্শক (ওসি,তদন্ত) মো. কবির হোসেন বলেছেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ী আব্দুল কাদেরের মেয়ে কাশফিয়া মঙ্গলবার বিকেলে নিখোঁজ হয়। একদিন পর বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির কাছের ঝোপে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কাশফিয়ার বাবা বাদী হয়ে থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে হত্যা মামলা করে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রেশমা আক্তার, হোসেন মিয়া, জামিল ও সুশীল দত্ত নামে ৪ জনকে আটক করেছে।
আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেছে, কাশফিয়ার সঙ্গে ওই তরুণীর ভালো সম্পর্ক থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতেই শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রেশমা যেসব তথ্য দিচ্ছে সেগুলো যাচাই করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতেই হোসেন ও জামালকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে শিশু কাশফিয়ার কানের দুল কেনার অপরাধে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুশীল দত্তকে আটক করা হয়েছে। রেশমা ও হোসেন মিয়াসহ ৪ আসামিকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামিল ও সুশীল দত্তকে রিমান্ডে নেওয়া হবে।

 

(ঊষার আলো-এম.এইচ)