ঊষার আলো রিপোর্ট : টানা বৃষ্টি আর ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইসঙ্গে মহারশি, চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর বাঁধের অন্তত সাত স্থান ভেঙে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর ও নালিতাবাড়ী পৌর এলাকাসহ শ্রীবরদীর শতাধিক গ্রাম ডুবে গেছে।
আকস্মিক এ বন্যায় এখনো পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও তিনজন।
নিখোঁজ ও মৃত্যুর বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ওসি মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, নালিতাবাড়ী উপজেলায় শুক্রবার বিকালে বন্যার পানিতে ডুবে খালিসাকুড়া গ্রামে ইদ্রিস আলী নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ এবং শুক্রবার রাতে বাঘবের গ্রামের গ্রামের আম্বিয়া খাতুন (৪৫) মারা গেছেন।
তিনি বলেন, এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার নামা বাতকুচি গ্রামের মহুয়া খাতুন, উভয়নগর গ্রামের দুভাই হাতেম আলী ও আলমগীর শুক্রবার রাতে বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন।
জানা যায়, আকস্মিক এ বন্যায় ওই তিন উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের অসংখ্য মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অনেক স্থানে পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবল তোড়ে ভেঙে গেছে অনেক ঘরবাড়ি, গাছপালা। তলিয়ে গেছে ফসলের খেত, ভেসে গেছে মাছের পুকুর ও ঘের। অনেক বাড়িতে রান্না-খাওয়া বন্ধ রয়েছে। তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে স্থানীয় পাহাড়ি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। সেইসঙ্গে যোগ হয় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় নদীর পানি ও বন্যাকবলিত এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারের জন্য ঢাকা ও ময়মনসিংহ থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবী এবং উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছে। বন্যার্তদের সহায়তার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণের কাজ চলছে।
ঊষার আলো-এসএ