ঊষার আলো রিপোর্ট : শেরপুর জেল থেকে পলাতক ৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সাড়ে ১১টার দিকে শহরের খরমপুর মহল্লায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার আসামি বিক্রম বিষু (৪৫), রুবেল মিয়া (৩৬) ও মাদক মামলার আসামি আমিনুল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করে র্যাব-১৪।
এর আগে একই দিন পৃথক দুটি অভিযানে শহরের শেরি ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মাদক মামলার আসামি আলামিনকে (৪২) এবং নালিতাবাড়ীর দক্ষিণ নাকশি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় হত্যা মামলার আসামি স্বপন মিয়াকে (২৯)।
র্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে ও রোববার রাতে এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃত বিক্রম বিষু শেরপুর শহরের খরমপুর মহল্লার মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে এবং একই মহল্লার জামশেদ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া ও খোরশেদ আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম ও আজগর আলীর ছেলে আলামিন। গ্রেফতারকৃত স্বপন মিয়া নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ নাকশি গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে।
র্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাকের দেওয়া পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট বিকাল অনুমান ৪টার দিকে শেরপুর জেলা কারাগারে কয়েক হাজার দুষ্কৃতকারী আক্রমণ করে বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় ৫ শতাধিক হাজতি ও কয়েদিকে পালাতে সহায়তা করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর কোম্পানি শেরপুর জেল কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসকের সরবরাহকৃত পলাতক হাজতি ও কয়েদিদের তালিকা সংগ্রহ করে পলাতকদের গ্রেফতার করতে অভিযানে নামে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় পলাতক ওই ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত হাজতি আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে র্যাব-১৪ জানতে পারে যে, ঘটনার দিন ওই ৫ আসামি অন্যান্য হাজতি ও কয়েদিদের সঙ্গে কৌশলে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যান এবং শেরপুর জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকেন। জেল পলাতক এসব হাজতি ও কয়েদিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে র্যাব-১৪ জানায়।
ঊষার আলো-এসএ