UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সরকারি হাসপাতালে কারিগরি জনবল নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে টিআইবির উদ্বেগ

koushikkln
এপ্রিল ১২, ২০২১ ৭:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা, ১২ এপ্রিল ২০২১: করোনাকালে সরকারি হাসপাতালে কারিগরি জনবল ঘাটতি মেটাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগকৃত নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় সংস্থাটি। একইসাথে, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটির স্বচ্ছতা নিয়েই সন্দিহান টিআইবি ।
গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে আজ এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “করোনা অতিমারীর প্রভাবে সাধারণ মানুষের জীবন এমনিতেই ওষ্ঠাগত, এর সাথে স্বাস্থ্য সেবার বেহাল দশা আর সেবার গুণগত মান নিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থার ঘাটতি এ সংকটকে আরো ঘনীভূত করে তুলেছে। এরকম একটি সময়ে হাসপাতালগুলোতে কারিগরি জনবল নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা স্বাস্থ্য খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ^াসের প্রতি আরেকটি বড় ধাক্কা হয়ে এলো। নিয়োগ কমিটির এক সদস্যকে সরাসরি কোটি টাকা ঘুষ দেয়া এবং মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের প্রস্তাব দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত অনিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ বিচারহীনতা উপভোগকারী কর্মকর্তাদের বেপরোয়া দুর্নীতির আরেকটি উদহারণ মাত্র। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে জরুরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের  যথাযথ উপলব্ধি এবং কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।”
দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্য খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য স্বাস্থ্য সচিবকে দুইজন সৎ, নির্ভীক ও সাহসী কর্মকর্তা যে অনুরোধ করেছেন তার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “অভিযুক্তদের নিয়োগ কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে কী তাদের কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত হয়ে যায়! ইতোপূর্বেও মাস্ক কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সেবা সরঞ্জাম ক্রয়ের ঘটনায় কাউকে দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তির সম্মুখীন করা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। এতে করে এক ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এবারও আমরা দেখলাম জড়িতদের অনেকেই প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষবলয়ের অধীনস্ত থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে এবং যখনই এ ব্যাপারে সমালোচনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে তখনই অন্যত্র বদলি বা সরিয়ে দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে দুদককে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা কিভাবে প্রায় একই ধরনের উচ্চ নম্বর পেলো? পরীক্ষার প্রশ্ন কিভাবে ফাঁস হয়েছিলো? এর পেছনে কারা ছিলো? সরাসরি ঘুষ প্রস্তাব ঘটনায় অভিযুক্তদের পুরো প্রক্রিয়ায় সাথে সম্পৃক্ততা কতোটুকু? সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ নিয়োগ সিন্ডিকেটের সরূপ উদ্ঘাটন এবং এর মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ”
“এসব নিয়োগ কি টাকা ছাড়া হয়!” বলে অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত একজন চাকুরিপ্রার্থী যে স্বগোতক্তি করেছে সেটাই যদি বাস্তবতা হয় তাহলে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্যসহনশীলতা’ বা ‘কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’ মর্মে সরকার প্রধানের বক্তব্যের আদৌ কোনো প্রতিফলন কী আছে? প্রশ্ন করেছেন ড. জামান।