UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সহপাঠী ও প্রক্টরের হাত থেকে বাঁচতে আত্মহত্যা করে অবন্তিকা

usharalodesk
মার্চ ১৭, ২০২৪ ১:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের নিপীড়ন ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালমন্দ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়েছিলেন আত্মহত্যা করা আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা ফাইরুজ।

শনিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম।

এজাহারে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে থাকা শুরু করলে অবন্তিকার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করে। এর পরই গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান।

শনিবার রাতে তাহমিনা বেগমের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে।

এজাহারে তাহমিনা বেগম উল্লেখ করেছেন, ‘ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তার ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এ জন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।’

‘কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তার চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।’

তাহমিনা বেগম দাবি করেন, ‘সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে এলেও তাকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ের বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

ঊষার আলো-এসএ