ঊষার আলো রিপোর্ট : রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবিরকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার এক বার্তায় তার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।
বিশিষ্ট সাংবাদিক নূরুল কবির শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেন, সম্প্রতি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনি হয়রানির শিকার হয়েছেন।
বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ‘আমরা এই ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না। নূরুল কবির দীর্ঘ কর্মজীবনে দেশের একজন সম্মানিত সম্পাদক। সততা ও নৈতিকতা মেনে সাংবাদিকতা করা গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যক্তি সবসময় যুক্তি দিয়ে কথা বলায় প্রধান কণ্ঠস্বর।’
সাংবাদিক নূরুল কবির কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এশিয়া মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে গত ১৮ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন। ২২ নভেম্বর দেশে ফেরেন তিনি।
ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লেখেন, গত ১৮ নভেম্বর একটি মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিতে বিদেশে যাচ্ছিলাম। মনে করেছিলাম বিমানবন্দরে আমাকে হয়রানির দিন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ভুল ভেবেছিলাম। বরং দ্বিগুণ হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। এ সময় আমাকে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। পরে ২২ নভেম্বর ফেরার সময়ও আবার এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। দেশপ্রেমিক হওয়াটা গোয়েন্দা সংস্থার চোখে সন্দেহের বিষয়। সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা বা সরকারে যারা তাদের তত্ত্বাবধান করেন তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হলাম।
তিনি আরও লেখেন, দুই দশকের বেশি সময় ধরে যতবারই বিদেশ গিয়েছি ততবারই ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ হেনস্তা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, অপেক্ষা করানো, পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া, গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে পাসপোর্টের পাতার ছবি তোলা। অনেক সময় ফ্লাইট ছাড়ার কয়েক মিনিট আগে কাগজপত্রগুলো ফেরত দেন তারা।
ঊষার আলো-এসএ