ক্রীড়া ডেস্ক : সাকিব আল হাসান এখন মনে মনে নিজেকে দুষতেই পারেন এই বলে, ‘কেন যে তখন কাউন্টির ওই ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম!’ সে ম্যাচ খেলে ছোট একটা চোট নিয়ে এসেছিলেন, যা লুকিয়ে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে খেলে বিপাকেও পড়েছিলেন। এরপর জানা যায় তার বোলিংই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে!
সে নিষেধাজ্ঞাই এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। লন্ডনে একবার পরীক্ষা দিয়েছিলেন বোলিংয়ের সে পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। এরপর চেন্নাইতে আরও এক পরীক্ষা দিয়ে সেখানেও ফেল করেছেন সাকিব। যার ফলে তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
সাকিবের ক্রিকেট মাঠে ফেরা এমনিতেই আছে শঙ্কায়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি হওয়ার ফলে জনরোষে পড়েছেন তিনি। যে কারণে ঘোষণা দিয়েও ঘরের মাঠে নিজের বিদায়ী টেস্টটা খেলতে পারেননি তিনি। এরপর থেকেই দলে ব্রাত্য হয়ে আছেন। তাকে ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাকে সে কারণেও পাওয়া নিয়ে আছে শঙ্কা। সাকিবের খেলা, না খেলা এখন তাই বিসিবির হাতে নেই, সেটা আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। এরই মধ্যে খবর এল চেন্নাইতে তার বোলিং পরীক্ষায় ফেল করাটা।
বিষয়টা প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে বেশ ধাক্কা হয়ে এসেছে। তিনি বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আসেনি। প্রথম যে পরীক্ষা দিলেন, সেখানে তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেননি, ভেরি শকিং। আমাকে নিশ্চিত হতে হবে, তিনি ব্যক্তি পর্যায়ে আবার একটা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছেন কি না… এটা একটু খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।’বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়াটা ক্রিকেট দুনিয়ায় বড় কিছু। তবে সাকিবের পরিপ্রেক্ষিতে তা ছোটই। বড় বাধা তো আসলে খেলার অনুমতি পাওয়াটাই। সেটার আঁচ মিলল লিপুর কথাতে।
তিনি বললেন, ‘এটা আসলে আমরা নির্বাচক মন্ডলীরা বোর্ডের কাছ থেকে জানতে চেয়েছি যে তিনি আমাদের এ প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাভেইলঅ্যাবল আছেন কি না। সেটা এখনও আমরা উত্তর পুরোপুরি পাইনি। আংশিক একটা পেয়েছি।’
লিপু জানান, সাকিবের জন্য অপেক্ষা করবে নির্বাচক কমিটি। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আবার শোনা যাচ্ছে একটা পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। সেটার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিটি মিনিটই হয়তো গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি এক-দুই দিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিষয়গুলো।’
ঊষার আলো-এসএ