ঊষার আলো রিপোর্ট : সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর ইয়াছিন হত্যার মূল আসামি জাকির হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইয়াছিন আলীর বিচ্ছিন্ন মাথাটিও উদ্ধার করেছে র্যাব। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়কের একটি কালভার্টের নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মাথাটি উদ্ধার হয়।
এর আগে শনিবার রাতে ঘাতক জাকিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জাকির হোসেন সদর উপজেলার পারকুখরালী গড়েরকান্দা এলাকার বাচ্চু শেখের ছেলে।মাথা উদ্ধারের পর তার ব্যবহৃত মটর ভ্যান ও পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধারের চেষ্টা করছে র্যাব। উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন, খুলনা র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ।
খুলনা র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ জানান, ইয়াছিন আলীর সাথে জাকিরের ব্যবসা ছিলো। ব্যবসার লেনদেনের ২০ হাজার টাকা পেতেন ঘাতক জাকির। কয়েকবার তাগাদা দিয়েও টাকা না পাওয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে জাকির। কিন্তু ইয়াছিনকে তা বুঝতে না দিয়ে নতুন ব্যবসার কথা বলে গত ৩০ আগস্ট একটি ভ্যানে তাকে শহরের বাইপাস সড়কে নিয়ে যায়।
সুযোগ বুঝে রাত ১২টার পরে ইয়াছিনের গলায় দা দিয়ে কোপ দেয়। সে পড়ে গেলে তাকে এ্যালোপাতাড়ি কোপাতে থাকে জাকির। একপর্যায়ে ভিকটিমের মাথা শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়। তখন মাথাবিহীন মরদেহ টেনে রাস্তার পাশে পানিতে ফেলে দেয়। তার মাথাটি আলাদা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দুরে বাইপাসেরএকটি কালভাটের নিচে একটি বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরদিন ৩১ আগস্ট এলাকার লোকজন রাস্তায় পাশে পানিতে লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইয়াছিনের স্ত্রী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর চারদিন পর র্যাব ইয়াাছন হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটন করতে সমর্থ হলো।
ঊষার আলো-এসএ