সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের ফেব্রুয়ারি-২০২১ মাসের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন করায় তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি। শনিবার বেলা ১১টায় জেলা নাগরিক কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিম। সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশে উন্নয়ন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর পদ্মার এপারের জেলাগুলোতেও উন্নয়নের জোয়ার বইতে শুরু করেছে। কিন্তু সেই উন্নয়ন যশোর-খুলনা-বাগেরহাট পর্যন্ত এসে পৌছালেও সাতক্ষীরা জেলা এখনো অনেকটা দুরে রয়ে গেছে। সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের গতি খুবই ধীর। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত এই এলাকায় শিক্ষার হার কম। দারিদ্রতার হার দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে অনেক বেশী। ফলে মৌলবাদ জঙ্গিবাদসহ নানা সংকটে জর্জরিত এই এলাকা। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে এই এলাকাকে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
সেই লক্ষে গত কয়েক দশক ধরে সাতক্ষীরার নাগরিক নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন দাবীতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি এব্যাপারে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিভিন্ন সময়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এছাড়া সাতক্ষীরার বিভিন্ন সংগঠন বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম ও দাবী-দাওয়া জানিয়ে আসছেন। মাননীয় সংসদ সদস্যগণ এব্যাপারে মহান জাতীয় সংসদে প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। এমতাবস্তায় সাতক্ষীরার জনগন, রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধিসহ নাগরিক সমাজের দাবীর বিষয়টি প্রস্তাব আকারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করায় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সুধাংশু শেখর সরকার, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, মাধব চন্দ্র দত্ত, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, এড. মুনির উদ্দিন, নিত্যা নন্দ সরকার, কমরেড আবুল হোসেন, শেখ মনিরুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, কাজী আক্তারুজ্জামান মহব্বত, আসাদুজ্জামান লাভলু, আলী নুর খান বাবলু, এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
সভায় সাতক্ষীরা শহরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত প্রাণ সায়র খাল খননে গণআকাঙ্খা বাস্তবায়ন না হওয়া, আম্পান দুর্গত এলাকায় দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও বাঁধের জন্য ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির প্রয়োজন হলে তা ক্ষতিপূরণ দিয়ে অধিগ্রহণ করা এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য রিসিট ছাড়াই অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে আগামী ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় শহরের পাকাপুলের উপর মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।