পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারত যদি সিন্ধু নদের ওপর বাঁধ বা এ জাতীয় কোনো স্থাপনা নির্মাণ করে, তাহলে ইসলামাবাদ হামলা চালাবে।
খাজা আসিফ বলেন, ‘শুধু বন্দুকের গুলি বা কামানের গোলা ছুড়লেই আগ্রাসন হয় না। বহুভাবে আগ্রাসন চালানো যায়। যেমন সিন্ধু নদের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া বা পানিপ্রবাহকে ভিন্নপথে চালিত করাও একপ্রকার আগ্রাসন। এর ফলে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কারণে মৃত্যু হবে লাখ লাখ মানুষের। ’
খাজা আসিফ বলেন, ‘সিন্ধু নদের পানিপ্রবাহ আটকাতে যদি তারা (নয়াদিল্লি) বাঁধ বা এই জাতীয় স্থাপনা নির্মাণ করে তাহলে পাকিস্তান সেই স্থাপনা ধ্বংস করবে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আপাতত আমরা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিষয়টি (সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি) নিয়ে আলোচনা করছি এবং নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত সরকার কর্তৃক সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার বিষয়ে ইসলামাবাদ সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।’প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসন্ন নির্বাচনের পটভূমিতে রাজনৈতিক লাভের জন্য ‘নাটক’র জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের ওপর বিশ্বব্যাপী চাপ আগের চেয়েও বেড়েছে। তবে এটি বলব না যে, হুমকি এড়ানো গেছে।’
খাজা আসিফ আরও বলেন, ‘নয়াদিল্লি যে আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রত্যাশা করেছিল তা পেতে ব্যর্থ হয়েছে। মোদি সরকার তাদের মিথ্যা দাবির সমর্থনে প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোদির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য এবং অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারত ক্রমাগত উস্কানি দিচ্ছে, তবে আমরা কেবল প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেব।’
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর থেকে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার জন্য ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানকে দায়ী না করলেও তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, কূটনীতিক বহিষ্কার ও সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের মতো বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
ঊষার আলো-এসএ