ঊষার আলো রিপোর্ট : সিরাজগঞ্জে ৯ মাসের শিশুপুত্রকে জবাই করে হত্যার দায়ে মা মুক্তা খাতুনকে (২১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এই দণ্ড প্রদান করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মুক্তা খাতুন জেলার শাহজাদপুর উপজেলার জোতপাড়া গ্রামের ধানকাটা শ্রমিক আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী এবং একই উপজেলার ছোট মহারাজপুর গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর মেয়ে।
জজ আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুর রহমান এই ঘটনা নিশ্চিত করেছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মুক্তা খাতুনের স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন ধান কাটার জন্য নওগাঁ জেলায় যাওয়ার কথা চূড়ান্ত করতে পার্শ্ববর্তী অপর ১ শ্রমিকের বাড়িতে যায়। বাড়ির অন্য লোকজন এসময় তারাবীর নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় মুক্তা খাতুন নিজ ঘরে তার ৯ মাসের বয়সী ছেলে মাহমুদুল্লাহ ওরফে মামুনের (৯) মুখে টেপ লাগিয়ে দেয়। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ পরদিন ২৯ এপ্রিল শাহজাদপুর থানা ঘাট এলাকা থেকে মুক্তা খাতুনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। এই ঘটনায় মুক্তা খাতুনের স্বামী আব্দুল্লাহ আল মামুন স্ত্রীকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে মুক্তা খাতুন তার শিশু পুত্রকে নিজ হাতে জবাই করে হত্যার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।
১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মুক্তা খাতুনের উপস্থিতিতে আদালত গতকাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। উল্লেখ্য হত্যাকাণ্ডের পর মাত্র সাড়ে ১০ মাসের মধ্যে এই আলোচিত হত্যা মামলার বিচার কাজ সমাপ্ত করলেছে আদালত। দ্রুততম সময়ে মামলার রায় পেয়ে বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
(ঊষার আলো-এম.এইচ)