ঊষার আলো ডেক্স : সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে সিলেটে। সিলেট নগরীর নদী তীরবর্তী এলাকায়ও এখন পানি ঢুকে পড়েছে এবং ভাসছে নগরীর সুরমা তীরবর্তী অঞ্চল। এক মাসের মধ্যে ২য় দফা বন্যায় অসহায় হয়ে পড়েছেন মানুষজন। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির জন্য চলছে হাহাকার। পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার ৫টি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। লাখো মানুষ পানিবন্দী। অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বুধবার (১৫ জুন) সন্ধ্যা থেকে সিলেট নগরীতে সুরমা নদীর পানি প্রবেশ করে। সুরমার সঙ্গে সংযুক্ত ছড়া ও খাল দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ শুরু হয়। কয়েকটি স্থানে নদীর তীর উপচেও পানি ঢোকে নগরীতে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর উপশহর, তেরতন, সাদারপাড়া, কুশিঘাট, মাছিমপুর, ছড়ারপাড়, তালতলা, জামতলা, ঘাসিটুলাসহ সুরমা তীরবর্তী নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। আগামী ১৯ জুন থেকে শুরু এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা। অফিসগামী ব্যক্তিরাও সকালে মারাত্মক বিপাকে পড়ছেন। ১০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা দিয়ে অনেকে রিকশায় করে কোনোরকম তলিয়ে যাওয়া রাস্তা পার হচ্ছেন। অনেকে আবার ভিজে অফিসে গিয়ে কাপড় পরিবর্তন করছেন।
এলাকাগুলোর বাসা-বাড়ির পানির রিজার্ভ ট্যাংক তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য নগরীতে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছেন সিটি করপোরেশন। সিলেট নগরীর পাশাপাশি সদর উপজেলার জালালাবাদ, কান্দিগাঁও, টুকেরবাজার ও খাদিমনগর ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে এ সকল এলাকার মাছের খামারও।
(ঊষার আলো-এসএইস)