UsharAlo logo
সোমবার, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছেন, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

koushikkln
জানুয়ারি ৩০, ২০২২ ৯:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি অন্যান্য ব্যাংকে দেশের কারা টাকা রেখেছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) তা জানাতে বলা হয়েছে। একই সাথে আদালত কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের সাথে জড়িত যাদের নাম পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে এসেছে, তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ- সিআইডির তার অগ্রগতিও জানতে চেয়েছেন। আগামী ৬ মার্চের মধ্যে হলফনামা করে এসব প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে সংস্থাগুলোকে।

দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইউ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখে রবিবার (৩০ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিট আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, সুসইস ব্যাংক এবং বিদেশি অন্যান্য ব্যাংকে কারা টাকা রেখেছে এ বিষয়ে বিএফআইইউকে বিস্তারিত জানাতে বলেছেন আদালত। আর পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ৬ মার্চের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। আর আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রুল শুনানি তারিখ রেখেছেন আদালত। ‘

বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি এ রিট আবেদনটি করা হয়। সে রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন। সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে বাংলাদেশের কে কত টাকা পাচার করেছে, সে তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট।

অর্থ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, যৌথ মূলধন কম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও পুলিশ প্রধানকে হলফনামা করে প্রতিবেদন দিতে বলেন আদালত।