UsharAlo logo
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবন-জীববৈচিত্র ধ্বংস করে গাছ লাগালে পরিবেশ সুরক্ষা হবে না

koushikkln
জুন ৫, ২০২১ ৩:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা : সুন্দরবন সহ প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র ধ্বংস করে শুধুমাত্র গাছ লাগালে পরিবেশের সুরক্ষা হবেনা। পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বাস্তুতন্ত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা সম্ভব। দেশের প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমি প্রতিবছর অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কা সামলাতে সামলাতে সুন্দরবন ও উপকূলের মানুষ দিশেহারা। পরের ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস সামলাতে সুন্দরবন এবং উপকূলকে প্রস্তুত করতে হবে। চ্বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার প্রতিপাদ্যে ৫ জুন শনিবার সকালে মোংলার সুন্দরবন উপকূলের তেলিখালি’র পশুর নদীর পাড়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং পশুর রিভার ওয়াটাকিপার আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে র‍্যালী শেষে মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন। কৃষিজমি নষ্ট করে পরিবেশ বিরোধী উন্নয়ন কর্মকান্ড বন্ধ এবং জলবায়ু ঝুঁকি থেকে সুন্দরবনসহ উপকূলের মানুষ ও জীববৈচিত্র রক্ষার দাবীতে এ মানববন্ধন এবং র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর মোংলার আহ্বায়ক সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা গীতিকার মোল্লা আল মামুন, গীতা হালদার, চিলা কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের নেতা মোঃ আলম গাজী, বিজন কুমার বৈদ্য, জাকির মোসাল্লী, হেম রায়, আলাউদ্দিন শেখ, গৌর রায়, ইশারাত ফকির, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার শেখ রাসেল প্রমূখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন মুনাফালোভী ব্যবসা-বাণিজ্য ও অপরিকল্পিত শিল্পায়নের কারণে সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদী দখল এবং দূষণ হচ্ছে। এরফলে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র হুমকিতে আছে। বক্তারা সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় বনবিনাশী সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল করার আহ্বান জানান। বক্তারা সুন্দরবন সংলগ্ন চিলা ইউনিয়নের সাত গ্রামে সাতশো একর কৃষিজমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলে কৃষকদের জীবন-জীবিকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার যে সিদ্ধান্ত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়েছে তা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান। মানববন্ধনের আগে কৃষিজমি, সুন্দরবন ও উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি-নদ-নদী রক্ষা বিষয়ক দাবী লিখিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়।