UsharAlo logo
রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেই অফিস সহকারী মিহিরের স্ত্রী অঢেল সম্পদের মালিক

usharalodesk
জুলাই ৭, ২০২৪ ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : সম্পদের তথ্য গোপনসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মিহির কুমার ঘোষ ও তার স্ত্রী শিল্পী রানী ঘোষের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মিহির আগে জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ছিলেন। একটি মামলায় মিহিরকে এবং অপর মামলায় স্ত্রী শিল্পী ও তার সহযোগী হিসাবে মিহিরকে আসামি করা হয়।

ইমরান খান বলেন, ‘স্বামী–স্ত্রী দুজনেরই সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন। স্ত্রীর নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছি।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে দুদক অনুসন্ধান শেষে শিল্পী রানী ঘোষ ও তার স্বামী মিহির কুমার ঘোষের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য পান। ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট শিল্পী রানীর কাছে সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেয় দুদক। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুদকের কুমিল্লার সমন্বিত কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী ফরম পূরণ করে পাঠান শিল্পী। শিল্পী রানী দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তার ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮২ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে ৩৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৬ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। পারিবারিক ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসহ তার নামে মোট ৬৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৮ টাকার সম্পদ পায় দুদক। তিনি ২০১০-১১ করবর্ষে আয়কর নথি খোলেন ও ব্যবসা থেকে তার আয় দেখান ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং বিনিয়োগ দেখান ২ হাজার টাকা। ২০১০-১১ সালে ব্যবসা থেকে উত্তোলন করেন ২৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। আয়কর নথি খোলার পর গৃহ সম্পদ ও ব্যবসার আয় পাওয়া যায় ৩৪ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৯ টাকা। কিন্তু দুদক যাচাইকালে ব্যবসাসংক্রান্ত তার কোনো ধরনের নথি পায়নি। তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ২৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩৯ টাকা।

মিহির কুমার অবৈধ পন্থায় উপার্জিত অর্থ দিয়ে ২০১০-১১ সালে পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা হিসাব/তথ্য প্রদানসহ ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৭২২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

মিহির কুমার ১৯৯৬ সাল থেকে সরকারি চাকরিতে রয়েছেন। তিনি সম্পদ বিবরণীতে ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১৫ লাখ ১০ হাজার ৯৬৯ টাকার অস্থাবর সম্পদ উল্লেখ করেন। যাচাইকালে তার নামে ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯১ টাকার অস্থাবর সম্পদ পায় দুদক।

ঊষার আলো-এসএ