ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর দৌলতপুরে আলোচিত স্কুলছাত্রী শিশু অঙ্কিতার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার্জশীট চূড়ান্ত মূহুর্তে আন্দোলনে নতুন মোড় নিয়েছে। আন্দোলনকারীরা এ নেক্কারজনক ঘটনায় প্রীতম রুদ্রকে যারা সহযোগিতা করেছে তদন্ত করে তাদেরকে আসামী করার জোর দাবি করেছেন। অন্যথায় নতুন করে আন্দোলন করারও হুশিয়ারি উচ্চরণ করেছেন তারা।
গত ২৮ জানুয়ারি তৃতীয় শ্রেণি মেধাবী ছাত্রী শিশু অঙ্কিতাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আন্দোলনকারীদেও উদ্যোগে পাবলা বনিকপাড়া সোসাইটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহবায়ক নাজমুল হাসান পুলু মুন্সি। তিনি জানান, শিশু অঙ্কিতার ধর্ষণ ও হত্যাকারী কুলাঙ্গার প্রীতম রুদ্রের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনকারীরা এলাকায় পোস্টার সাটায়। সম্প্রতি ধর্ষকের ছবি সম্বলিত পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যার মত নেক্করজনক কাজে যারা সহযোগিতা করেছে তারাই পোস্টার ছেড়ার সাহস পেয়েছে। এসব সহযোগিদের চার্জশীটে আসামী না করা হলে আন্দোলনকারীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। এ জন্য সহযোগিদের অবিলম্বে আসামী করে প্রযোজনে চার্জশীট দাখিলের সময় আরো ১০ দিন পিছানো হোক।
সাবেক কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির জানান, দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়ার সুশান্ত দে’র কন্যা তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী অঙ্কিতা দে ছোয়া হত্যার শোক এখনও কাটেনি। কিন্তু ধর্ষক ও ঘাতকের সহযোগিরা যে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাদের আচরণে এমনটাই প্রমাণ করে। অঙ্কিতা ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের যারা সহযোগিতা করেছে তাদের সকলকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দেয়ার দাবি জানান এই নেতা। তা না হলে তারা নতুন করে আন্দোলন শুরু করবেন বলে জানান।
সোসাইটির নেতা মিজানুর রহমান স্বাধীন মোড়ল বলেন, পুলিশ প্রীতম রুদ্রের ১৬৪ ধারার জবানবন্দীকে পুঁজি করে ঘটনার সহযোগিদের রক্ষা মিশনে কাজ করছে। তিনি বলেন, ধর্ষক ও তার সহযোগিদের পুলিশ বাঁচাতে চাইলে তারাও বাধ্য হয়ে আন্দোলনে যাবেন। অবিলম্বে সহযোগিদের আসামী করে চার্জশীট দেয়ার দাবি জানান এ নেতা।
নিহত অঙ্কিতার অসহায় পিতা সুশান্ত দে বলেন, অঙ্কিতাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রুদ্র কয়েকদিন লাশ গুম করে রাখে। এ সময় সে লাশ একাধীক স্থান পরিবর্তন করে। যা রুদ্রের একার পক্ষে সম্ভব নয়। রুদ্রকে যারা এ কাজে সহযোগিতা করেছে তাদেরকেও অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিলের দাবি জানান এ হতভাগা পিতা। তা না হলে তিনি আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে চার্জশীটের নারাজি দিবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারী দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়ার সুশান্ত দের কন্যা অঙ্কিতা দে ছোয়া নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজি করে এক পর্যায় ২৮ জানুয়ারী অত্র এলাকার বৃত্তশালী ব্যক্তি প্রভাত রুদ্রের চারতলা বাড়ীর নিচতলার বাথরুমে অঙ্কিতার লাশ বস্তা বন্দি প্রায় গলিত অবস্থা পাওয়া যায়।