ঊষার আলো ডেস্ক : নওগাঁর মহাদেবপুরে স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, মাথার চুল কেটে দেয়া, জোরপূর্বক ফাঁকা স্ট্যাম্প ও চেকে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে স্বামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ভুক্তভোগী স্ত্রী রাবেয়া বসরী মুক্তা (৩৭) তার স্বামী, সতীন ও দুই দেবরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গ্রেফতাররা হলেন লাইব্রেরিপট্টি মধ্যবাজার এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে ওবায়েদ হোসেন হীরা, জোবায়ের হোসেন মানিক, ওয়াহেদ হোসেন বাদশা ও ওবায়েদ হোসেন হীরার দ্বিতীয় স্ত্রী উম্মে হাবিবা।
জানা গেঝে, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে মহাদেবপুরের লাইব্রেরিপট্টি মধ্যবাজার এলাকা থেকে স্বামী ও দেবরকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে মুক্তার সতীন উম্মে হাবিবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে মুক্তাকে প্রায়ই মারধর করতেন তার স্বামী ওবায়েদ। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত মুক্তার সাথে ঘোষপাড়া এলাকার আয়েজ উদ্দীন আকন্দের ছেলে এনামুল হক রাসেলের পরকীয়া সম্পর্ক আছে এমন অভিযোগ তুলে স্বামী হীরা, সতিন উম্মে হাবিবা, দেবর মানিক ও বাদশাসহ সাদ্দাম হোসেন সাগর ও মামুন হোসেন নামে আরো দু’জন মিলে শারিরীক নির্যাতন করেন। এ সময় মুক্তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, মাথার চুল কেটে নেয়াসহ জোরপূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে ও চেকে স্বাক্ষর নেয় তারা।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ মুক্তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মুক্তা স্বামীসহ ছয়জনের নামে মামলা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী হীরা, দেবর মানিক ও বাদশাকে গ্রেফতার করে। এছাড়া পরের দিন শুক্রবার মুক্তার সতিন হাবিবাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, গ্রেফতার আসামিদের শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিডিও ধারণ করা মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।