UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ১৮ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হজের খুতবা বাংলায় অনুবাদ করবেন যারা

usharalodesk
জুন ১৫, ২০২৪ ১২:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক :লাখ লাখ মুসল্লিতে মুখর পবিত্র মক্কা-মদিনা। হজ পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র নগরীতে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আজ থেকে শুরু হয়েছে।  অনেক হজযাত্রী বৃহস্পতিবার রাতেই এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরামের কাপড় পরে মিনার উদ্দেশে রওনা করেন। মিনায় গিয়ে ফজর থেকে শুরু করে এশা পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে।

শরিয়তের আহকাম অনুযায়ী, জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন হাজিরা। ওই দিন সেখানে উপস্থিত হাজিদের উদ্দেশ্যে আরবিতে খুতবা দেওয়া হবে। মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন মক্কার মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি।

এবার ৫০টিরও বেশি ভাষায় সরাসরি সম্প্রচারিত হবে পবিত্র হজের খুতবার অনুবাদ।  বাংলায় সেই খুতবা অনুবাদের দায়িত্ব পালন করবেন সৌদি আরবে অধ্যয়নরত চার বাংলাদেশি।  হজে উপস্থিত লোকজনের বোঝার সুবিধার্থে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মুসলমানদের কাছে হজের খুতবার সেই বাণী পৌঁছে দিতে এবার ২০টি ভাষায় অনুবাদ করে সম্প্রচার করা হবে।

বাংলা ভাষাভাষিদের সুবিধার্থে খুতবা বাংলাতেও অনুবাদ করা হবে। বাংলায় খুতবা অনুবাদ করবেন সৌদি আরবে অবস্থান করা চার বাংলাদেশি- মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কি ও মুবিনুর রহমান ফারুক এবং জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নাজমুস সাকিব।

২০২০ সালে হজের খুতবার বাংলায় অনুবাদ শুরু হয়। তখন থেকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বাংলাদেশের কক্সবাজারের বাসিন্দা মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কি।  হজের খুতবা ছাড়াও তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামের জুমার খুতবা বাংলায় অনুবাদ করে থাকেন।

২০১৫ সালে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি ভাষায় আরাফার ময়দানে প্রদত্ত খুতবার অনুবাদ প্রকল্প যাত্রা শুরু করে। ২০২০ সালে ১০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়, যার মধ্যে যুক্ত হয় বাংলাও। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে ১৪টি ভাষায় এবং ২০২৩ সাল থেকে ২০টি ভাষায় অনুবাদ সম্প্রচারিত হতে থাকে। হজ ও ইসলামের শাশ্বত বাণী বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে দিতেই মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদ কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

ঊষার আলো-এসএ