UsharAlo logo
সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হদিস নেই পাপনের

usharalodesk
আগস্ট ৮, ২০২৪ ১:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ক্রীড়া ডেস্ক :ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। আর এতেই বিপদে পড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একাধিক কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের পর থেকেই হদিস পাওয়া যাচ্ছে না বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপনের। বাকি কর্মকর্তাদেরও একটি বড় অংশ আসছেন না বিসিবি কার্যালয়ে। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন— নেতৃত্বশূণ্যতায় কী হবে দেশের ক্রিকেটের?

বিসিবির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশই ছিল আওয়ামী লীগের। বোর্ডপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন ছিলেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রী। এর বাইরে পরিচালকদের মধ্যে শফিউর রহমান নাদেল ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য। নাইমুর রহমান দুর্জয় ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য। আ জ ম নাসির উদ্দীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের পর তারা সবাই এখন গা ঢাকা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর বাসায় আগুন দেওয়া হয়েছে। সাবেক দুই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগের সংসদ হওয়ায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের দলীয় কার্যালয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মাশরাফির বাড়ি। আগুন দেওয়া হয়েছে পাপনের নির্বাচনি এলাকায় তার ভৈরবের বাড়িতেও। যদিও নাজমুল হাসান পাপন সেই সময় ভৈরবে ছিলেন না। বোর্ডে থাকা আওয়ামী লীগের বাকি নেতারাও গা ঢাকা দিয়েছেন।

জনমনে প্রশ্ন— কোথায় আছেন পাপন? এই প্রশ্নের অবশ্য পরিষ্কার কোনো উত্তর নেই। বিসিবির কেউ কেউ বলছেন— পাপন দেশ ছেড়েছেন। আবার কারও কারও দাবি— তিনি দেশেই আছেন। তবে নিরাপত্তার জন্য আপাতত গা ঢাকা দিয়েছেন পাপন। বিসিবিতে আবারও তিনি আসবেন কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরও নেই তাদের কাছে। তাদের মতে, বিসিবিপ্রধান ধরে নিয়েছেন তার সময় শেষ।

তবে সমস্যা হলো চাইলেও আপাতত জোর করে সরানো যাচ্ছে না পাপনকে। কেননা বিসিবিতে পাপনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে। তার আগে জোরপূর্বক তাকে সরিয়ে দেওয়া কোনো সুযোগ নেই। আর সেটি হলে আইসিসির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওপর। কেননা বোর্ডের ওপর সরকার বা অন্য কোনো শক্তির হস্তক্ষেপ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

ঊষার আলো-এসএ