ক্রীড়া ডেস্ক : আজ বাংলাদেশের জন্য শেষ সুযোগ ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে না পেরে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো। বাংলাদেশের এমন শোচনীয় পরাজয়ের কথা কেউ ভাবতেও পারেনি, এমনকি খোদ নিউজিল্যান্ড দলও।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) অকল্যান্ডে তৃতীয় ও শেষ টি-২০তে ৬৫ রানে হারল বাংলাদেশ। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ৩-০তে নিশ্চিত করে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। সে হিসেবে নিউজিল্যান্ড সফরে ডবল হোয়াইটওয়াশের স্বীকার হলো বাংলাদেশ।
বৃষ্টি বাগড়ায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা নষ্ট হওয়ায় ২০ ওভারের ম্যাচ দাঁড়াল ১০ ওভারে। টসে জিতে অধিনায়ক লিটন দাস ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেয়।
ব্যাট হাতে পেয়ে অকল্যান্ডের মাঠে রানের বৃষ্টি ঝড়ান কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালন।
এ দুই ওপেনারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে মাত্র ১০ ওভারে ১৪২ রানের লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ড। এতো বড় লক্ষ্য তাড়ায় মাঠে নেমেই বিপর্যস্ত হয় বাংলাদেশ দল।
ওপেনার সৌম্য সরকার ৪ বল খেলে দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়েই আউট হয়ে যান। ১০ রান করেই বিদায় নেন তিনি। অধিনায়ক টিম সাউদির বলে কট এন্ড বোল্ড হন সৌম্য।
সৌম্যর পরপরই আউট হন অধিনায়ক লিটন দাসও। এক বল মোকাবিলা করতে গিয়েই সাউদির বলে সরাসরি বোল্ড হন তিনি। রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
অধিনায়কের পর আউট হয়ে গেছেন ওপেনার নাঈম শেখও। ১১ বলে ১৯ রান করে অ্যাশলের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
সৌম্য ও লিটনের আউটের পর ব্যাট হাতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অপরপ্রান্তে নামেন অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। হতাশ করেন এ দুজনও। দু’জনেই গুনে গুনে ৮ রান জমা করে সাজঘরের পথ ধরেন। দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় তাদের।
দেশে ফেরার তাড়ায় ছিলেন টেলএন্ডাররাও। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে অপরপ্রান্তে রেখে একে একে বিদায় নেন মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। সৈকত ৮ বলে ১৩ রান করে সাউদির বলে আউট হন।
ফলে নির্ধারিত ওভারের ৩ বল বাকি থাকতেই ৭৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
খুব সহজেই ৬৫ রানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল টোড অ্যাশলে। তিনি ২ ওভার করে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন।
১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন টিম সাউদি।
(ঊষার আলো-এমএনএস)