UsharAlo logo
রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামাস চুক্তিতে রাজি হওয়ায় ফিলিস্তিনিদের উল্লাস

usharalodesk
মে ৭, ২০২৪ ১২:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক :হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সোমবার সন্ধ্যায় গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় উল্লাস করেছেন। স্বাধীনতাকামী গ্রুপ হামাস গাজা উপত্যকায় একটি প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার পর পরই রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করা ভিডিও ক্লিপগুলিতে দক্ষিণ গাজার রাফাহ, খান ইউনিস এবং কেন্দ্রীয় দেইর আল-বালাহ শহরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় হামাস জানায় যে, তারা গাজা উপত্যকায় প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

হামাসের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিশরীয় গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং তার সংগঠনের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন।

হামাস এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এমন সময় অনুমোদন দিল যখন ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের পূর্ব পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়ে সেখানকার ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করে। প্রায় ১৫ লাখ উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। ইসরাইল অনেক দিন থেকেই এই রাফায় অভিযান চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে।

মিশরের রাষ্ট্রীয় আল কাহেরা নিউজ চ্যানেল একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার ভোরে বলেছে, গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার ভোরে কায়রোতে আসবেন।

এর আগে হামাসের প্রতিনিধি দলটির সদস্যরা তাদের নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য দুই দিনের যুদ্ধবিরতি আলোচনার পর রোববার মিশরের রাজধানী ত্যাগ করেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলি সীমান্তের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়। সেই সঙ্গে অন্তত ২০০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এর জবাবে ওইদিন থেকেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় গত কয়েক মাসের ইসরাইলি হামলায় ৩৪ হাজার ৭০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সেই সঙ্গে প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

ঊষার আলো-এসএ