UsharAlo logo
রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেলিকপ্টার থেকে কোনো গুলি ছোড়া হয়নি: র‌্যাব

ঊষার আলো ডেস্ক
জুলাই ২৭, ২০২৪ ৫:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হেলিকপ্টার থেকে কোনো প্রকার গুলি বা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি বলে দাবি করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

র‍্যাব জানায়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ১৮ জুলাই সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। শাট ডাউনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও নাশকতার মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, সরকারি ও জনগণের সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালায়।

রাষ্ট্রবিরোধী দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসী চক্র পরিকল্পিতভাবে বিটিভি ভবন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হানিফ ফ্লাইওভার, সেতু ভবন, ডাটা সেন্টার, বিআরটিএ ভবন এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনাসহ সরকারি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও যানবাহনে নজীরবিহীন হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশের আপামর জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব ফোর্সেস রাজধানীসহ সারাদেশে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দায়িত্বপালনকারী র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর দুষ্কৃতিকারী ও নাশকতাকারীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মধ্যযুগীয় কায়দায় অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলা ও আক্রমণে শতাধিক র‌্যাব সদস্য আহত হয়।

র‍্যাব আরও জানায়, সহিংসতা ও নাশকতার সময় দুর্বৃত্তরা কোমলমতী শিশু-কিশোরদের আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাস্তা অবরোধ করে এবং ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কোমলমতী শিশু-কিশোররা সামনে থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে।

নিরূপায় হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলাচলের পথ সুগম করার জন্য এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন ও ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এক্ষেত্রে হেলিকপ্টার থেকে কোনো প্রকার গুলি বা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি।