২৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার সাবেক সেনা সদস্য এবং উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ এর সহ-সভাপতি শামীম হোসেন (৪৮)কে রাতে কিছু দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। নিহত শামীম হোসেন বিগত ২০ বছর পূর্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসরে আসেন এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলার সেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
হত্যাকাণ্ডের দিন নিহত শামীম হোসেন রাতের খাবার শেষ করে বাড়ী হতে বের হন। এর কিছু সময় পরে হরিণাকুন্ডু থানার পার্বতীপুর গ্রামের জনৈক জব্বার মন্ডলের মেহগনি বাগানের উত্তর পাশে খালপাড়ে বাশেঁর সাকোর নিচে শামীম হোসেন এর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। কিছু দুর্বৃত্তরা শামীম হোসেনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি বিভিন্ন প্রেস মিডিয়াতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে গোপন তথ্যের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬, সিপিসি-২, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি দল অস্ত্র কারবারি হরিনাকুন্ডুর পারদখলপুর গ্রামের মোঃ সানোয়ার হোসেন ছনুর ছেলে মো: আবু সাঈদ কে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থাকা ০১টি ওয়ান শুটার গান, এবং ০১টি বিদেশী রিভলবার ও ০৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আবু সাইদ তার নিকটে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত সন্ত্রাসী আবু সাইদ হরিণাকুন্ডুর সাবেক সেনা সদস্য ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শামীম হোসেনের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তীতে জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নিয়মিত অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।