ঊষার আলো ডেস্ক : করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। সংক্রমণ মোকাবেলায় ৫ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়। রোববার (১১ এপ্রিল) কঠোর বিধিনিষেধের শেষ দিন।
তবে সবার মনে প্রশ্ন এসেছে ১২ এবং ১৩ এপ্রিল চলবে কীভাবে।
রাজধানীতে বর্তমানে সবই চলছে। কঠোর বিধিনিষেধের শুরুতে কোনও গণপরিবহন চলেনি। পরে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ অন্য সিটি কর্পোরেশেনে গণপরিবহণ চলাচলে অনুমতি দেয়া হয়।
এরপর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রাইড শেয়ারের চালকরা আন্দোলন শুরু করে। পরে তাদেরও অনুমতিও দেয়া হয়।
ব্যবসায়ীদের পাঁচদিনের টানা আন্দোলনের মুখে অবশেষে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে খুলেছে সারাদেশের শপিং মল ও দোকানপাট। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে সকাল ৯টা থেকেই বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। এরপর আবারও যথারীতি সব দোকান ও শপিং মল বন্ধ হয়ে যাবে। শপিং মলে ও দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে এপ্রিলের ৫ তারিখ থেকে এসবই চলছে। রোববার (১১ এপ্রিল) শেষদিন। ১২ এবং ১৩ এপ্রিল চলবে কীভাবে সে বিষয়ে কেউ কিছুই জানে না। সরকারও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ১২ এবং ১৩ এপ্রিল (সোমবার ও মঙ্গলবার) দুইদিন কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন কিছুই নেই। এই দুইদিন মানুষ গণহারে বাহিরে বের হয়ে আসবে। তারা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাস বা লঞ্চ কাউন্টারে ভিড় করবে। কারণ ওই দুইদিন দুরপাল্লার যানবাহন চলাচলের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। দুরপাল্লার যানবাহন না পেলে এ পর্যায়ে তারা খণ্ড-খণ্ডভাবে রাজধানী ত্যাগ করার চেষ্টা করবে। তখন করোনার সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এজন্য সরকারকে ১২ এবং ১৩ এপ্রিল বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া দরকার বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ‘যে অবস্থায় আছি সেখান থেকে তো পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। আমার মনে হয় এখন যেভাবে চলছে আপাতত সামনের দুই দিন সেভাবেই চলতে পারে। তবে রোববার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
তবে এরইমধ্যে যেসব অনলাইনে দুরপাল্লার বাসের টিকিট বিক্রি করা হয় তাদের সাইটগুলোতে ১২ এপ্রিলের পর থেকে সব বাসের টিকিট বিক্রি হবে এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলেছে, অন্তত ১৪ দিন ‘পূর্ণ লকডাউন’ ছাড়া করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এর আগে বুধবার রাতে কমিটির ৩০তম সভায় সারাদেশে দুই সপ্তাহ ‘পূর্ণ লকডাউন’ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।
(ঊষার আলো-এমএনএস)