UsharAlo logo
শনিবার, ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

২০ এপ্রিলের পর দোকান-মার্কেট খোলার দাবিতে বিক্ষোভ

ঊষার আলো
এপ্রিল ১৩, ২০২১ ১:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে আগামীকাল ১৪ এপ্রিল বুধবার থেকে ১ সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই লকডাউন আগামী ২০ এপ্রিলের পর আর না বাড়িয়ে দোকান ও মার্কেট খুলে দেয়ার দাবি করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
আজ ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে মগবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে সীমিত পরিসরে মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবি করে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা এ বিক্ষোভ করে। সে সময়ে ঈদ সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার অনুমতির দাবি জানিয়েছেন তারা।
দোকান মালিকরা বলেছেন, যদি বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলার অনুমতি দেয়া হয় তাহলেও তারা কিছুটা বেচাকেনা করতে পারবে। তারা চান, এই ঈদের সিজনে দোকান খুলুক, বেচাকেনা হোক। তারপর তারা বাসায় থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না।
করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বুধবার ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ১ সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে ১২ এপ্রিল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে শিল্প কলকারখানা। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এ লকডাউন।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, করোনা ঠেকাতে গত ২৯ মার্চ থেকেই মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। ৪ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমেও জনমত তৈরি, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে যেভাবে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটছে, কঠোর লকডাউনের মাধ্যমেই এটি ঠেকাতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, কঠোর লকডাউনের সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া সকল অফিস-আদালত-কলকারখানা সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।
দোকানপাট খোলা রাখার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, তাদের জন্য মার্কেট খোলা রাখা হয়েছে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপরই ১ সপ্তাহ কড়া লকডাউন প্রয়োজন। কড়া লকডাউন না হলে করোনার বিস্তার ও মৃত্যুর সংখ্যা ঠেকানো যাবে না।
‘সংক্রমিত মানুষের সংস্পর্শে এলে করোনা ছড়াবেই’ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছে, এর ফলে এখন কঠোর লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই। কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

(ঊষার আলো- এম.এইচ)