যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি চেক ঘসামাজা করে পৌনে ৭ কোটি টাকা চেক দুর্নীতি মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে অভিযুক্ত ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা) শেখ নাজমুল আলম চার্জশিটের উপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ মামলার চার্জশিটে অব্যহতি চাওয়া এজাহারনামীয় আসামি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সাবেক সচিব প্রফেসর এএমএইচ আলী আর রেজাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- যশোর শিক্ষা বোর্ডের বরখাস্ত হওয়া হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, ঠিকাদার ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখহাটি জামরুল তলা এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল আলম, পোস্ট অফিস পাড়ার গাজী নূর ইসলাম, বড় বাজার জামে মসজিদ লেনের প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রুপালী খাতুন, উপশহর ই-ব্লকের সহিদুল ইসলাম, রকিব মোস্তফা, শিক্ষা বোর্ডের সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নিম্নমান সহকারী জুলফিকার আলী, চেক ডেসপাসকারী মিজানুর রহমান ও কবির হোসেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন শিক্ষা বোর্ডের আলোচিত চেক দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বুধবার চার্জশিটের উপর শুনানি শেষে বিচারক পলাতক ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির এ আদেশ দেন।