ঈদের পর আগামী ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রোববার নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) তিন এপ্রিলের ছুটি ঘোষণা সংক্রান্ত প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।এতে এবার ঈদে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি পেলেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
এবার আগেই ঈদে টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ঈদের আগে-পরে মিলছে স্বাধীনতা দিবস, শবেকদর ও সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ ও এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ যাবে ছুটির মধ্যে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) বা ১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর ধরে ঈদের ছুটি নির্ধারণ করে রেখেছে সরকার। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ীও ৩১ মার্চ ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
তবে ছুটি মূলত শুরু হচ্ছে ২৬ মার্চ (বুধবার) স্বাধীনতা দিবসের দিন। এরপর ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) একদিন অফিস খোলা। ২৮ মার্চ (শুক্রবার) শবেকদরের ছুটি। এবার ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের ছুটি, টানা পাঁচ দিনের ছুটি (২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল) থাকার কথা ছিল ২ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর মাঝখানে একদিন (৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার) অফিস খোলা রাখার কথা ছিল।
এরপর আবার ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি। সেই হিসাবে ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনের মধ্যে মাত্র দুদিন অফিস খোলা ছিল। তবে ‘নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯’ অনুযায়ী, দুটি ছুটির মাঝখানে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তাই মাঝখানের কর্মদিবসগুলোতে ছুটি নিয়ে কেউ চাইলেই টানা ছুটি নিতে পারবেন না। মাঝখানে ছুটি নিলে টানা ছুটি হয়ে যায়।
এই পরিস্থিতিতে ২৮ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটির সুযোগ করে দিতে ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
ঊষার আলো-এসএ